আমার সংবাদ ডেস্ক
মে ২৩, ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
মে ২৩, ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
রাজধানীর বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম ব্যাপকভাবে কমেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি প্রায় ২০ টাকা কমে দাম পড়েছে পটোল, ঢেঁড়স, কাঁকরোলসহ বিভিন্ন সবজির। মুরগির দামও গত সপ্তাহের থেকে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে। এদিকে, ডিমের দাম দীর্ঘদিন ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে মাছের বাজারে চরম উত্তাপ বিরাজ করছে—সরবরাহ কমে ও চাহিদা বেশি থাকায় মাছের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে, যা ক্রেতাদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার (২৩ মে) রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও, তালতলা ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে গ্রীষ্মের সবজির সরবরাহ বেড়ে আসায় দাম অনেকটাই কমেছে। পটোল, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, কাঁকরোলসহ বেশিরভাগ সবজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটি, কচুর লতি, বেগুন ও ঝিঙের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।
রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা আহাদুজ্জামান বলেন, ‘বন্যার আশঙ্কায় কৃষকরা ক্ষেত থেকে দ্রুত সবজি তুলছেন, যার ফলে সরবরাহ বেড়ে গেছে। এজন্য দাম কিছুটা কমেছে।’ তিনি জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় সবজির দাম কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে।
মুরগির বাজারেও দামের প্রবণতা একইরকম। ব্রয়লার মুরগির দাম কমে নেমে এসেছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। সোনালি মুরগির দামও কমে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত নেমেছে। মুরগি বিক্রেতা বজলু মিয়া জানান, ‘দীর্ঘদিন পর এত কম দামে মুরগি বিক্রি হচ্ছে। খামারিরা এখন লোকসানে আছেন। ভালো হলে দাম ২০০ টাকার কাছাকাছি থাকা উচিত।’
অন্যদিকে, ডিমের দাম দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। বড় বাজারগুলোতে ডজন প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। মালিবাগ বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, ‘বর্ষাকালে সাধারণত ডিমের দাম বেড়ে যায়, কিন্তু এ বছর দীর্ঘদিন ধরে দাম অপেক্ষাকৃত কম আছে।’
চাল বাজারেও সামান্য স্বস্তি রয়েছে। নতুন আসা মিনিকেট চালের দাম প্রতি বস্তায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমে ২০০০ টাকার নিচে নেমেছে। তবে পুরনো চালের দাম এখনো তুলনামূলক বেশি। চাল বিক্রেতা হোসেন আলী বলেন, ‘বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নতুন চাল কম দামে পাওয়া যাচ্ছে, তবে পুরনো চালের দাম বেশি।’
তবে মাছের বাজারে বেলা অন্যরকম। চাষের মাছের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। চাষের চিংড়ির দাম দাঁড়িয়েছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে, নদীর চিংড়ির দাম এক হাজার থেকে এক হাজার দুইশ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। রুই, কাতলা, তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। দেশি কই, শিং, শোল, ট্যাংরা ও পুঁটির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
মাছ বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে, যা ক্রেতাদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। এ অবস্থায় কম আয়ের মানুষ মাছ কিনতে অনেক সমস্যায় পড়ছেন।
বিআরইউ