আমার সংবাদ ডেস্ক
জুন ৩, ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
জুন ৩, ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
২০২৫-২৬ প্রস্তাবিত বাজেটে ইতিবাচক পদক্ষেপ আছে। তবে তা অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কালোটাকা সাদা করাসহ বিভিন্ন বৈষম্যমূলক পদক্ষেপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এমন অভিমত তুলে ধরে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বাজেটে নেতিবাচক পদক্ষেপগুলো পুনর্বিবেচনা করে রোহিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ নিয়ে সিপিডির মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
ফাহমিদা খাতুনের মতে বাজেটে মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব আদায়সহ বেশ কিছু বিষয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রাক্কলন দেওয়া হয়েছে। যা অর্জন করা কঠিন হবে।
তিনি বলেন, ‘বাজেট তার আকারের দিক থেকে ব্যতিক্রমী- যা পূর্ববর্তী বাজেটের তুলনায় ছোট। বাজেটের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া হবে। প্রবৃদ্ধির দিকে না তাকিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন এবং জনগণের ওপর নজর দেওয়া হবে। একদিকে বলা হয়েছে প্রবৃদ্ধির বাইরে সামগ্রিক উন্নয়ন এবং ভৌত অবকাঠামোর বাইরে গিয়ে মানুষের উন্নয়নে নজর দেওয়া হবে। কিন্তু এই প্রত্যয়গুলা বাজেটারি পদক্ষেপ যেগুলো নেওয়া হয়েছে সেটার মাধ্যমে এটার প্রতিফলন ঘাটানো হয়নি।’
বাজেটের ইতিবাচক পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কর কমানো হয়েছে, কর অবকাশ দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির যে চ্যালঞ্জগুলো রয়েছে, এই চ্যালেঞ্জগুলো অনেক হলিস্টিক্যালি দেখার প্রয়োজন রয়েছে। শুধু খণ্ডিতভাবে বিভিন্ন জায়গায় বরাদ্দ বাড়িয়ে বা কমিয়ে নয়। সামগ্রিক যে উদ্দেশ্য দেওয়া হয়েছে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’
ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকট আমলে নেওয়া হয়নি। সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সংকট মোকাবিলায় এসব সংকট আমলে নেওয়া দরকার ছিল। এছাড়া রাজস্বসংক্রান্ত বেশ কিছু উদ্যোগ বাজেটে ঘোষিত সমতামুখী ও টেকসই উন্নয়ন কাঠামোর ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। করকাঠামো বিন্যাস করতে গিয়ে ছয়টি শ্রেণি করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, নিম্নবিত্ত মানুষের করহার বেশি হবে, কিন্তু উচ্চবিত্তদের কম পড়বে। এটা বৈষম্যমূলক।’
বাজেটে নেওয়া পদক্ষেপ বৈষম্যবিহীন স্পিরিটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে ফাহমিদা বলেন, ‘বাজেটে ডকুমেন্টসের নাম দেওয়া হয়েছে বৈষম্যবিহীন। বৈষম্যবিহীন স্পিরিটের সঙ্গে বাজেটারি পদক্ষেপগুলো সাযুজ্যপূর্ণ নয়।’
তিনি বলেন, ‘আশা করি অর্থ উপদেষ্টা বাজেটের প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করে সেটা মানুষকেন্দ্রিক বা জনমুখী করবেন। বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ; কালোটাকা সাদা করার মতো আরও যেসব নেতিবাচক পদক্ষেপ সেগুলো পুনর্বিবেচনা করবেন, রোহিত করবেন। এটা করতে পারলে আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে একটা ফুটপ্রিন্ট রেখে যেতে পারবেন।’
আরএস