Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪,

জবিতে আঁচল ফাউন্ডেশনের আত্মহত্যা বিরোধী ক্যাম্পেইন 

মো. মাসুম বিল্লাহ

জুন ২৭, ২০২২, ০৫:০৭ পিএম


জবিতে আঁচল ফাউন্ডেশনের আত্মহত্যা বিরোধী ক্যাম্পেইন 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আঁচল ফাউন্ডেশনের আত্মহত্যা বিরোধী ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার মূলে যে কারণসমূহ রয়েছে তার মধ্যে পোস্টট্রম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার অন্যতম একটি কারণ। আর এই মানসিক বিপর্যয় থেকে কিভাবে উত্তরণ সম্ভব তার প্রেক্ষিতে আজ সোমবার জবি ক্যাম্পাসে এ সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করে সংগঠনটি। 

ক্যাম্পেইনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান, প্রক্টর অধ্যাপক মোস্তফা কামালসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনটি জানায়, পোস্টট্রম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার হলো এক ধরণের মানসিক ব্যাধি। যা এমন ব্যক্তিদের মধ্যে হতে পারে যারা কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কোন গুরুতর দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। ফলে এর বড় একটা অংশই একটা পর্যায়ে গিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। সচেতনতায় আঁচল ফাউন্ডেশন এ আত্মহত্যা বিরোধী ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে যাচ্ছে।   

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আঁচল ফাউন্ডেশনের চ্যাপ্টার কো-অর্ডিনেটর আফরোজা জাহান তাজিন বলেন, ক্যাম্পেইন মূল উদ্দেশ্য হলো, পোস্টট্রম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) আক্রান্তে অনেক শিক্ষার্থী আত্ম হত্যার পথ বেঁচে নিচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের মাঝে এ বিষয়ে সচেতনতার জন্যই আমাদের এ প্রচারণা। পোস্টট্রম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত না হলে ১.৬ শতাংশ আত্মহত্যার ঘটনা প্রতিরোধ করা যেতো। 

আঁচল ফাউন্ডেশনের ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বিজন বাড়ৈ বলেন, এই পোস্টট্রম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের (পিটিএসডি) সাথে সরাসরি আত্মহত্যার পিছনে দায়ী। তাই সকলেরই জানা উচিত এ পিটিএসডি কি এবং কী কী কারনে এ পিটিএসডি পর্যায়ে যায়। তাই বলবো এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতার জন্য যা যা করা দরকার আমাদের তা করতে হবে। তার জন্য এ ধরনের ক্যাম্পেইন ও সেমিনারের আয়োজন করে সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে।  

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, আমরা চাই না আর কোন শিক্ষার্থী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যার মত সিদ্ধান্ত নিক। তাই শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে যেকোন সহযোগিতার জন্য আমরা কাউন্সিলিং সেন্টার করে দিয়েছি। আমরা চাই সেখানে সকলেরই অংশগ্রহণ থাকবে। আঁচল ফাউন্ডেশন যদি আমাদের কাউন্সিলিং সেন্টারের সাথে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে।

আমারসংবাদ/এবি

Link copied!