Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪,

খুবিতে অভিভাবকদের বিশ্রামের ব্যবস্থা

খুবি প্রতিনিধি

খুবি প্রতিনিধি

এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম


খুবিতে অভিভাবকদের বিশ্রামের ব্যবস্থা

সারাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র-তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে। আবহাওয়া অধিদপ্তর তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে।

এর মধ্যে শনিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক-স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান বিভাগ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলা এ পরীক্ষায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে আসন ছিল ৮ হাজার ৮৮৬ জন শিক্ষার্থীর। প্রতি বছরই পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের অভিভাবকরাও ক্যাম্পাসে আসেন। তীব্র এই রোদে অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘবের জন্য বসার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পাশে গাছপালায় ঘেরা ছায়া যুক্ত স্থানে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যারেজে প্রায় ১৫০০ চেয়ার দিয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে সুপেয় পানি, শুকনা খাবার, বিভিন্ন জুস,  টয়লেট ব্যবহারের সুবিধা ছাড়াও হাতমুখ ধোঁয়ার ও ব্যবস্থা করা আছে।

এ বিষয়ে অনুভূতি জানতে চাইলে খুলনার দৌলতপুর থেকে আসা অভিভাবক প্রিয়া ঘোষ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন উদ্যোগ আমাদের খুবই উপকার করেছে। এই তীব্র গরমে এতো সময় কোথায় থাকবো তা নিয়ে খুব টেনশনে ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

সাতক্ষীরা থেকে আসা ফাতেমা খাতুনের অভিভাবক আব্দুল জব্বার বলেন, সকালে গাড়িতে উঠে এসেছি। এখানে কোনো আত্মীয় ও নেই। মেয়ে পরীক্ষা দিতে গেলে সেই সময়টা এই রোদের মধ্যে কোথায় থাকবো তা নিয়ে চিন্তা ছিল। প্রশাসনের এমন উদ্যোগ আমাদের মতো অভিভাবকদের খুবই উপকার করেছে।

এ বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, আমরা প্রতিবছরই দেখেছি শিক্ষার্থীদের সাথে যে অভিভাবকরা আসেন তারা ভোগান্তির শিকার হন। আর বর্তমানে খুলনাতে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। এই অবস্থায় ভোগান্তি আরও বহুগুণে বেড়ে যাবে। এজন্য অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে আমরা কিছু সেবামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। দেড় হাজার মানুষের জন্য বসার ব্যবস্থাসহ সুপেয় পানি, বিভিন্ন জুস, শুকনা খাবার, টয়লেট ব্যবহার এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে তাদের চিকিৎসার জন্য ও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, তীব্র তাপদাহের কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে পরীক্ষা চলাকালীন অভিভাবকদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়। জিএসটি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাশ্রয় এবং মানসিক কষ্ট লাঘব হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতের তুলনায় এ বছর আরও সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় গুচ্ছ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ইএইচ

Link copied!