ডিআইইউতে ‘বিল্ডিং ইনফরমেশন মডেলিং’ শীর্ষক সেমিনার

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বিল্ডিং ইনফরমেশন মডেলিং (বিম)’ শীর্ষক একটি সেমিনার। 

গত ২৮ জুন (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের ‘মুট কোর্ট’ হলরুমে পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ডিআইইউ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাব’-এর আয়োজনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাড কোর ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও প্রকৌশলী মো. হাছনাইন আহমেদ। তিনি 'বিম' প্রযুক্তির ধারণা, এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও ডিজিটাল নির্মাণ খাতে এর প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করেন। 

এছাড়া তিনি কম্পিউটার এইডেড ড্রাফটিং (ক্যাড) এর গুরুত্ব, বিশেষ করে দেশ ও বিদেশে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে এর প্রয়োগ তুলে ধরেন।

তিনি আরও জানান, 'অটোডেস্ক রেভিট' সফটওয়্যার ব্যবহার করে ‘বিম মেথোডোলজি’ অনুসরণে ক্যাড ড্রাফটিং আরও সহজ ও কার্যকর হয়, যা বর্তমান সময়ের প্রকৌশলীদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গণেশ চন্দ্র সাহা, সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.টি.এম. মাহবুবুর রহমান সরকার, পুরকৌশল বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ও সহকারী অধ্যাপক জনাব ওমর ফারুক। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক এস.এম. সাজ্জাদ আহমেদ শোভন।

সেমিনারটি তত্ত্বাবধান করেন পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল শেখ। তিনি বলেন, “এই সেমিনার শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা। এখানে তারা আধুনিক নির্মাণ ও ডিজাইন প্রযুক্তি নিয়ে বাস্তব জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পেয়েছে।"

অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারীদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব সানিউল হক মাহি এবং প্রভাষক জনাব গোবিন্দ কীর্তনিয়া।

সানিউল হক মাহি বলেন, “বিম একটি আধুনিক প্রযুক্তি যা নকশা, নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণকে আরও বাস্তবমুখী ও কার্যকর করে তোলে। এটি খরচ, সময় ও ভুল কমিয়ে প্রকল্পে সমন্বয় বাড়ায়। আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের সময়োপযোগী দক্ষতায় দক্ষ করে গড়ে তোলা, যাতে তারা চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতামূলকভাবে এগিয়ে যেতে পারে। ভবিষ্যতে 'বিম' নিয়ে একটি প্রফেশনাল ওয়ার্কশপ আয়োজনের পরিকল্পনাও রয়েছে।”

সেমিনার শেষে শিক্ষার্থীরা জানান, এমন আয়োজন তাদের ডিজিটাল নির্মাণ প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে এবং নেতৃত্ব ও পেশাগত দক্ষতা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।

ইএইচ