Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪,

বিশ্বকাপ আয়োজনের পাশাপাশি ইসলামকে যেভাবে তুলে ধরেছে কাতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ০৩:৫৯ পিএম


বিশ্বকাপ আয়োজনের পাশাপাশি ইসলামকে যেভাবে তুলে ধরেছে কাতার

কাতারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপকে ঘিরে আয়োজক দেশ কাতারকে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। গলফ দেশের অন্তর্ভূক্ত কাতারকে নিয়ে দীর্ঘ এক প্রতিবেদনে লিখেছে এজেন্সি ফ্রান্স প্রেস। এতে তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বকাপ আয়োজনের পাশাপাশি কীভাবে কাতার ইসলামকে মানুষের মানুষে তুলে ধরেছে। এজেন্সি ফ্রান্স প্রেসের প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি।

এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাঁকজমক ফুটবল আয়োজনে মানুষকে মাতিয়ে রাখার পাশাপাশি ইসলামও প্রচার করছে কাতার। মূলত বিশ্বকাপ আয়োজনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ইসলাম সম্পর্কে মন পরিবর্তন করতে বা এমনকি ধর্মান্তরিত করার জন্য হাজার হাজার অমুসলিম দর্শনার্থীর কাছে শান্তির এই ধর্ম প্রচার করছে দেশটি।

এই প্রথম কোনো মুসলিম দেশ যারা ফুটবল বিশ্বকাপের মতো বিশাল ইভেন্ট আয়োজন করেছে। আর এই আয়োজন উপভোগে সারা বিশ্বের লাখ লাখ ফুটবল ভক্ত মধ্যপাচ্যের এই ধনী দেশটিতে অবস্থান করছেন। যাদের মধ্যে বড় একটা অংশ অমুসলিম। আর এই অমুসলিমদের কাছে কীভাবে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায় তারই কৌশল যেন বিশ্বকাপের আয়োজন।

এএফপি বলছে, কানাডিয়ান দম্পতি ডোরিনেল এবং ক্লারা পোপা কাতারের রাজধানী দোহার কাতারা সাংস্কৃতিক জেলায় অবস্থিত অটোমান-শৈলীর একটি মসজিদে নামাজের আযান শোনেন। দেয়ালে নীল ও বেগুনি রঙের টাইলসের চমৎকার মোজাইক থাকার কারণে এই মসজিদটি দোহার ব্লু মসজিদ নামে পরিচিত।

মসজিদের সামনে যাওয়ার পর একজন গাইড কানাডীয় এই দম্পতিকে স্থাপনা ঘুরে দেখাতে ভেতরে নিয়ে যান। ৫৪ বছর বয়সী পেশায় অ্যাকাউনটেন্ট ডোরিনেল পোপা বলছেন, কাতারে এসে তারা প্রথমবার ইসলাম সম্পর্কে জানলেন।

এই দম্পতি বলেন, ইসলাম সম্পর্কে আমাদের কিছু ধারনা ছিল। এখন হয়তো সেগুলো পরিবর্তন হবে।

সিরিয়ার স্বেচ্ছাসেবক জিয়াদ ফাতেহ বলছেন, বিশ্বকাপ হলো লাখ লাখ মানুষকে ইসলামের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার এবং এই ধর্ম সম্পর্কে ভুল ধারণা পাল্টে দেওয়ার একটি সুযোগ। কারণ পশ্চিমাদের অনেকেই এই ধর্মকে ভুল বুঝে থাকেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মানুষকে নৈতিকতা, পারিবারিক বন্ধনের গুরুত্ব এবং প্রতিবেশী ও অমুসলিমদের প্রতি শ্রদ্ধা সম্পর্কে (ইসলামের শিক্ষা) ব্যাখ্যা করি।’

সোমায়া নামে একজন ফিলিস্তিনি স্বেচ্ছাসেবক বলেন, এখানে আগত অমুসলিম দর্মনার্থীরা সবচেয়ে বেশি জানতে চাচ্ছেন পর্দা, বহুবিবাহ এবং ইসলামে নারীরা নির্যাতিত কি না।

এএফপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কাতারের সৌক ওয়াকিফ বাজারে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুটবল ভক্ত জড়ো হয়ে থাকেন। সেখানেই একটি অংশে বিনামূল্যে বহু বই এবং পুস্তিকা রেখে দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা আছে: ‘যদি আপনি সুখের সন্ধান করেন... তবে আপনি (এটি) ইসলামেই পাবেন’।

সৌকের পাশেই রয়েছে শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে ভ্রমণের ব্যবস্থা। দর্শনার্থীদের ট্যুরের জন্য প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা খোলা থাকে এই ইসলামিক কালচারাল সেন্টারটি।

এবি

Link copied!