আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জুন ৩০, ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় প্রত্যাশার তুলনায় কম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে ইরানি শীর্ষ কর্মকর্তাদের কথোপকথন থেকে। মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট রোববার (২৯ জুন) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে সাম্প্রতিক এই হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্র, যেখানে অত্যাধুনিক বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান ব্যবহার করা হয়।
হামলার পর মার্কিন গোয়েন্দারা প্রাথমিকভাবে জানায়, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল উপাদান ধ্বংস হয়নি। এই হামলা দেশটির কার্যক্রমকে মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে দিতে পেরেছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এই মূল্যায়ন প্রত্যাখ্যান করে।
ওয়াশিংটন পোস্ট আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কথোপকথন ট্যাপ করতে সক্ষম হয়েছে। ওই কথোপকথনে তারা আলোচনা করছিলেন— কেন ট্রাম্পের নির্দেশে পরিচালিত হামলাগুলো প্রত্যাশিত মাত্রায় ধ্বংস সাধন করতে পারেনি।
তবে এক শীর্ষ মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন, “শুধু একটি ফোনালাপ বা একক সূত্রের ওপর ভিত্তি করে গোয়েন্দা মূল্যায়ন করা যায় না। একটা ফোন কল মানেই পুরো চিত্র নয়।”
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথসহ শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করছেন, হামলায় ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, হামলায় গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ঠিকই, তবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আগেভাগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ফলে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির পরিমাণ সীমিত হয়েছে।
এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, “তারা কিছুই সরায়নি। তারা ভাবেনি আমরা এতটা দূর যাব।”
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমস সূত্রে জানা গেছে, হামলার পর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রাথমিক মূল্যায়নেও বলা হয়েছে— “এই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কয়েক মাসের জন্য থামিয়ে দিয়েছে, দীর্ঘমেয়াদে নয়।”
তবে হোয়াইট হাউস ও সিআইএ এ মূল্যায়ন মানতে নারাজ। সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ বলেন, “নতুন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, হামলায় এমন গভীর ক্ষতি হয়েছে, যার পুনর্গঠন করতে ইরানের কয়েক বছর সময় লাগবে।”
ইএইচ