ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

যৌতুকের জন্য স্ত্রী হত্যা : স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আদালত প্রতিবেদক

আদালত প্রতিবেদক

মে ১০, ২০২৩, ০৮:৩০ পিএম

যৌতুকের জন্য স্ত্রী হত্যা :  স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

পাঁচ বছর আগে রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকায়  শিউলী আক্তার নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য হত্যার মামলায় স্বামী রিপন গাজীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (১০ মে) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক রোকসানা বেগম হ্যাপীর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় রিপনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির ছিল। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী আরিফ হোসাইন তালুকদার এসব তথ্য জানান।

জানা য়ায়, ২০০৭ সালের ১৩ জানুয়ারি রিপন গাজী  ও শিউলী আক্তার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর তাদের দুটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকে। ২০১২ সালের ১২ জুলাই রিপন গাজী মোসা. পারভীন বেগমকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর রিপন শিউলীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতে থাকে। তাকে ৮০ হাজার টাকা দেয়াও হয়। আরও এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য শিউলীকে নির্যাতন করেন রিপন। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই শিউলী কদমতলী থানায় রিপনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এরই মধ্যে রিপন শিউলীকে তালাক দেয়। শিউলী তিন বছর বাবার বাসায় থাকে। ছেলেদের কথা চিন্তা করে তিন বছর পর পুনরায় তারা আবার বিয়ে করেন। তারা আলাদা বাসায় একত্রে বসবাস শুরু করেন। এরপর রিপন পারভীনের কথামত এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য শিউলীকে আবার মারধর করে আসছিল। ছেলেদের কথা চিন্তা করে শিউলী সব সহ্য করে আসছিল। ২০১৮ সালের ৬ মার্চ শিউলী ও রিপন বাসায় ছিল। তাদের দুই ছেলে ছিল তাদের ছোট খালার বাসায়। পরদিন দুই ছেলে বাসায় এসে দেখে তাদের মা মৃত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তাদের বাবা বাসায় নেই।

এ ঘটনায় শিউলীর বাবা মনির হোসেন ৭ মার্চ রিপন ও পারভীনকে আসামি করে যৌতুকের জন্য মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে কদমতলী থানার সাব-ইন্সপেক্টর লিটন মিয়া ২০১৮ সালের ৩০ জুন রিপনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রিপনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

আরএস
 

Link copied!