ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
ঋণ খেলাপি মুন গ্রুপের মামলা

অগ্রণী ব্যাংকের শীর্ষ ৫ কর্মকর্তার কারাদণ্ডের রায় স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৫, ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম

অগ্রণী ব্যাংকের শীর্ষ ৫ কর্মকর্তার কারাদণ্ডের রায় স্থগিত

অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. মুরশেদুল কবীরসহ পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টের দেওয়া ৩ মাসের দেওয়ানি বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় আগামী ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। 

অন্য চার কর্মকর্তা হলেন—অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার জেনারেল ম্যানেজার মো. ফজলুল করিম, পিআরএল-এ যাওয়া আরেক জেনারেল ম্যানেজার এ কে এম ফজলুল হক, অগ্রণী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর-১ মিসেস ওয়াহিদা বেগম এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর-২ শ্যামল কৃষ্ণ সাহা।

আদালতে অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ব্যাংক কর্মকর্তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাডভোকেট শামীম খালেদ, ব্যারিস্টার তানজীবুল আলম। মুন গ্রুপের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও অ্যাডভোকেট নুরুল আমীন।

এর আগে মুন ইন্টারন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমানের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামানের একক বেঞ্চ তিন মাসের দণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মো. নুরুল আমীন।

এ বিষয়ে সেদিন অ্যাডভোকেট নুরুল আমীন বলেন, ‘রায় হাতে পাওয়ার এক মাসের মধ্যে তাদের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পরে বিস্তারিত বলা যাবে।’ ওই রায় স্থগিতে চেয়ে আপিল করেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। সেটি আজ শুনানির জন্যে ওঠে।

জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করায় খেলাপি হয়ে পড়ে মুন গ্রুপ। টাকা পরিশোধ না করে উল্টো ব্যাংকের বিরুদ্ধে  মামলা করে রেহাই পাওয়ার চেষ্টা করে গ্রুপটি। এক্ষেত্রে আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে আদালতকে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তাই মুন গ্রুপকে খেলাপি তালিকাভুক্ত করে সিআইবি রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়। এর ফলে অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারছিল না গ্রুপটি।

ক্ষুব্ধ হয়ে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে খেলাপি গ্রাহক মুন গ্রুপ। এর প্রেক্ষিতে ব্যাংকটির এমডি মো. মুরশেদুল কবীরসহ  পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তাকে ৩ মাসের দেওয়ানি বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়। রায় পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল।

ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ঋণ খেলাপিরা আদালতকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। ঋণ পরিশোধ না করে আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে বেড়িয়ে যেতে চায় তারা। ফলে অর্থ খরচ করেও বিনিয়োগকৃত ঋণ ফেরত আনতে পারে না ব্যাংক। এতে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের তালিকা দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। খেলাপিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের স্থিতাবস্থার কারণে বিপুল পরিমাণ ঋণ আটকা রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে ঋণ ফেরত না পাওয়ায় ব্যাংক খাতে তীব্র তারল্য সংকট দেখা দিচ্ছে।

আইনজীবীরা জানান, ২০১৭ সাল পর্যন্ত মুন গ্রুপের কাছে অগ্রণী ব্যাংকের ডিগ্রি মূলে পাওনা ৫৩৯ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে পাওনার ২৫ শতাংশ কিস্তিতে পরিশোধের জন্য মুন গ্রুপের কাছে চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঋণের ২৫ শতাংশ পরিশোধ না করলে মুন গ্রুপকে খেলাপি তালিকাভুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে পাঠানো হবে। এই ব্যাংকের চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিম্ন আদালতে ঘোষণামূলে ডিগ্রি প্রার্থনা করা হয়। একইসঙ্গে ব্যাংকের চিঠির বিরুদ্ধে আদেশ প্রার্থনা করে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। নিম্ন আদালত এই আদেশ নামঞ্জুর করেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে মুন গ্রুপ হাইকোর্টে বিবিধ আপিল দায়ের করেন। হাইকোর্ট ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ব্যাংকের চিঠির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। পাশাপাশি রুল দেন।

এদিকে নির্ধারিত সময়ে ঋণের ২৫ শতাংশ কিস্তি পরিশোধ না করায় মুন গ্রুপকে খেলাপি তালিকাভুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি পাঠায় অগ্রণী ব্যাংক। পরে মুন গ্রুপ অগ্রণী ব্যাংকের এমডিসহ চার নির্বাহীর বিরুদ্ধে ভায়োলেশন মোকাদ্দমা দায়ের করে। মামলার শুনানি শেষে অগ্রণী ব্যাংকের এমডি, ডিএমডিসহ চার নির্বাহী ৩ মাসের দেওয়ানি কারাদণ্ড দিয়েছেন। এদের মধ্যে একজন এলপিআরে যাওয়া নির্বাহী কর্মকর্তা রয়েছেন।

অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তারা আমার সংবাদকে জানিয়েছেন, আদালত অবমাননার সাথে বর্তমান এমডি মো. মুরশেদুল কবীরের সংশ্লিষ্টতা নেই। কারণ ঘটনার সময় তিনি অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন না। 


নাম প্রকাশ না করে অগ্রণী ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, যে গ্রুপটি জনগণের টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে তার পক্ষে রায় দেওয়ায় ব্যাংকারদের মনোবল ভেঙে যেতে পারে। খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার কারণে যেখানে প্রশংসা পাওয়ার কথা; উল্টো শাস্তি পেতে হচ্ছে। উচ্চ আদালতের বিষয়গুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, চেম্বার আদালতে আজ রায়টি স্থগিত হওয়ায় অগ্রণী ব্যাংকে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। 

আরএস

Link copied!