Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪,

বেনজীরের বিরুদ্ধে এড. রিগ্যানই তদন্ত চেয়ে দুদকে যান

নিজস্ব প্রতিনিধি:

নিজস্ব প্রতিনিধি:

এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১০:২২ এএম


বেনজীরের বিরুদ্ধে এড. রিগ্যানই তদন্ত চেয়ে দুদকে যান

আলোচিত আইনজীবী এবং সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন নয়, বরং সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন রিগ্যান ই পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর প্রথম আবেদন করেছিলেন। রিগ্যান গত ৪ এপ্রিল প্রথম আবেদন করেছিলেন দুদকের অফিসে।

জানা গেছে,পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ চাকরি জীবনের শেষ দিনগুলোতে ‍‍`গোপালগঞ্জ‍‍` জেলা বাসিন্দা হিসেবে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ভাঙিয়ে ক্ষমতার ‍‍`অপব্যবহার‍‍` করে সম্পদের পাহাড় নয়, হিমালয় পর্বত সম সম্পত্তি অর্জন করেন।
বেনজীর আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের বিপুল সম্পত্তি অর্জনের বিষয়ে সম্প্রতি দুই পর্বে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন (সাবেক আইজিপির অপকর্ম-১ ও ২) প্রকাশ করেছে কালের কণ্ঠ। 
৩১ মার্চ প্রকাশিত প্রথম পর্বের মূল শিরোনাম ছিল ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’। আর ২ এপ্রিল প্রকাশ করা হয় ‘সাবেক আইজিপির অপকর্ম-২’। এই পর্বের মূল শিরোনাম ছিল, ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’।

প্রতিবেদনে আসা অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য ৪ এপ্রিল দুদকে আবেদন করেন আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন। চিঠিতে সাড়া না পেয়ে ১৮ এপ্রিল আইনি নোটিশ দেন রিগ্যান। এরপরও সাড়া না পেয়ে ২১ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।

অপরদিকে ২১ এপ্রিল রোববার বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।এই নিউজটা গণমাধ্যমে ‍‍`ভাইরাল‍‍` হলেও সালাহউদ্দিন রিগ্যান এর নিউজটা তেমন ‍‍`ভাইরাল‍‍` হয় নি।

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার সুমন যখন দুদকেই পড়ে আছেন , তখন অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দৌড়েছেন হাইকোর্টের বারান্দায়।

২২ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্ত চেয়ে একটি কমিটি গঠন করেন।

গতকাল ২৩ এপ্রিল বেনজীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার আরো বলেন,"ভারতের সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় এবং অবসরে যাওয়ার সময় সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হয়। দুই সময়ের সম্পদের পার্থক্য ১০ শতাংশ বেশি হলে সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়"। বাংলাদেশেও এমন আইন করা উচিত বলে মত দিয়েছেন তিনি ।

এ সময় বেনজীর আহমেদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, সাঈদ আহমেদ রাজা ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন ও মনোজ কুমার ভৌমিক।

বিআরইউ

Link copied!