আমার সংবাদ ডেস্ক
এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ১০:৫০ এএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ১০:৫০ এএম
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বড় স্বস্তির বার্তা নিয়ে এলো দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়। টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরাও এখন উচ্চতর গ্রেড পাবেন—এমন ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বুধবার (৩০ এপ্রিল) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই রায় দেন।
রায় অনুযায়ী, সরকারের বিভিন্ন দফতর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ১৫ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী এই সুবিধার আওতায় আসবেন। রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইব্রাহিম খলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল। তবে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে চাকরিজীবীরা, যা দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এখন তাদের পক্ষে গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বরের পরিপত্রে বলা হয়েছিল, একই পদে দীর্ঘ সময় কর্মরত কেউ যদি একাধিক টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি আর উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পাবেন না। কিন্তু আপিল বিভাগের রায়ে এই ব্যাখ্যাকে খারিজ করে চাকরিজীবীদের পক্ষে রায় দেওয়া হলো।
নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী, পদোন্নতি না পাওয়া কর্মচারীরা চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পর দুটি উচ্চতর গ্রেড পেতে পারেন। কিন্তু টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড নেওয়ার কারণে অনেকেই তা থেকে বঞ্চিত হতেন। আদালতের এই রায় সেই জটিলতা কাটিয়ে দিল।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, মূল পে-স্কেলে উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার বিধান থাকলেও তার বাস্তবায়নে পরিষ্কার নির্দেশনা ছিল না। ফলে ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া নতুন বেতন কাঠামোর সুবিধা অনেকেই পাননি। এখন রায় বাস্তবায়ন হলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হবে।
সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে এই রায়কে ‘বহু প্রতীক্ষিত ন্যায্যতা’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। অনেকের মতে, এটি শুধু আর্থিক সুবিধা নয়, বরং নীতিগত স্বীকৃতির বিষয়, যা চাকরিজীবীদের মনোবলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিআরইউ