ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

জনগণই বলছে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ: তথ্যমন্ত্রী

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ১৩, ২০২২, ০৬:১৯ পিএম

জনগণই বলছে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গাইবান্ধার উপনির্বাচনে মাঠে কর্মরত নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা লিখিত দিয়েছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, কোনো গন্ডগোল হয়নি, আর পাঁচশ’ কিলোমিটার দূরে বসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে নির্বাচন কমিশন পুরো উপনির্বাচন বাতিল করেছে, যে কারণে জনগণই বলছে কমিশনের এ সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

একইসাথে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এটিও প্রমাণিত হয়েছে যে, নির্বাচন সবসময় নির্বাচন কমিশনের অধিনেই হয়, তাদের সিদ্ধান্তই সবাই ওপরে, সরকারের সেখানে ভূমিকা নেই। ফলে বিএনপিসহ কেউ কেউ যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার প্রভৃতি নানা ধরনের সরকারের ফর্মুলা দেয় সেটিরও কোন যৌক্তিকতা নেই।

ড. হাছান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বা মন্ত্রী হিসেবে নয়, সেখানকার ভোটার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন টক শোতে আমি যেটা দেখেছি-শুনেছি, তা থেকে আমাদের মনে হচ্ছে, সাধারণ জনগণ তাদের এই সিদ্ধান্ত হতবাক হয়েছে, কারণ নির্বাচনী এলাকার কোথাও কোনো ধরণের গন্ডগোল হয়নি। এছাড়া কোনো পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ ছিল না। আর নির্বাচন কমিশন পাঁচশ’ কিলোমিটার দূরে বসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে নির্বাচন বাতিলের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।’

ড. হাছান মাহমুদ এ সময় প্রিজাইডিং অফিসারদের লিখিত রিপোর্টের কপি উপস্থাপন করে বলেন, ‘যেখানে নির্বাচন কমিশন এই কথাগুলো বলছে, সেখানে আমার কাছে ৯৮টা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের লিখিত রিপোর্ট আছে যে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, কোনো ধরণের কোনো গন্ডগোল হয়নি এবং রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে ভোট বন্ধ করেছে।’

যুক্তি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘হু ইজ অন দ্যা গ্রাউন্ড, প্রিজাইডিং অফিসার ইজ অন দ্যা গ্রাউন্ড। এবং তারা লিখিত দিয়েছেন, ভোট সুষ্ঠু, অবাধ, স্বচ্ছ হচ্ছে। আর এখানে ৫শ’ কিলোমিটার দূরে বসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ভোট যখন বন্ধ করা হলো, মানুষ এতে শুধু হতবাক হয়নি, মানুষ বলছে, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত প্রচন্ড প্রশ্নবোধক একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটা আমি বলছি না, আমার দলও বলছে না। সেখানে আমাদের প্রার্থী এবং প্রার্থীর সমর্থকরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছে।’

ঢাকা থেকে পাঁচশ’ কিলোমিটার দূরের ক্যামেরার রেজুলেশন কেমন ছিল, ইন্টারনেট সংযোগ কেমন ছিল, সেটি একটা বড় প্রশ্নের ব্যাপার উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেটি একটি দুর্গম এলাকা। সেখান থেকে সিসি ক্যামেরা কতটুকু স্বচ্ছ বা কারেক্ট ফুটেজ দিচ্ছিল সেটা একটা বড় প্রশ্ন। বোদ্ধাজনেরা বলছেন, সেখানে একজন বৃদ্ধ লোককে আরেকজন হাঁটতে সাহায্য করছে, পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসারদের জন্য কেউ চা এনেছে, পানি এনেছে, কেউ প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে গেছে, আবার ঢুকেছে। নির্বাচন কমিশন যে বলছে সেখানে কোনো কোনো কেন্দ্রে তারা ভোটারের বাইরে লোক দেখতে পেয়েছেন, ইন্টারনেট রেজুলেশন যেখানে আপডাউন করে, সেখানে ৫শ’ কিলোমিটার দূরে বসে ঠিকভাবে মানুষ চিহ্নিত করা সম্ভব কি না, প্রশ্ন রেখেছেন বোদ্ধাজনেরা।’

৫৩ কেন্দ্রের বিষয়ে অভিযোগে পুরো নির্বাচন বাতিল হওয়া যৌক্তিক কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বলেছে ৫৩টি কেন্দ্রে তারা এ ধরণের ঘটনা দেখেছে। ৫৩টি কেন্দ্র মানে ১৪৫টি কেন্দ্রের এক তৃতীয়াংশ । আমাদের প্রার্থীও প্রশ্ন রেখেছেন, সেই ৫৩টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত বা বাতিল হতে পারতো, বাকি কেন্দ্রের ভোট কেন বাতিল হলো। কমিশনের মতে অন্য কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে, নির্বাচন কমিশনেরও কোনো আপত্তি নেই। তাহলে অন্য কেন্দ্রের ভোট কেন স্থগিত হলো, মানুষের কাছে সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।’

বুধবার চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘এই সমাবেশ করার আগে বিএনপি হাঁকডাক দিয়েছিল যে, লাখ লাখ মানুষ হবে এবং চট্টগ্রাম শহরে জনজোয়ার তৈরি হবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে পলোগ্রাউন্ডের এক তৃতীয়াংশও পূর্ণ হয়নি। আমাদের ছেলেবেলায় পলোগ্রাউন্ডে মাঝে মধ্যে ভ্যারাইটি শো হতো। ভ্যারাইটির শো’র সময় যতো লোক হতো, গতকাল তাদের সমাবেশে তার চেয়ে একটু বেশি হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ যে তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি সেটির প্রমাণ হচ্ছে সেখানে এমনকি তাদের কর্মীরাও আসেনি। গতকাল তাদের সমাবেশে কেউ বাধা সৃষ্টি করেনি। নির্বিঘ্নে তারা নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রামগড়, কক্সবাজার একশ’-দেড়শ’ কিলোমিটার দূর থেকে সবাই এসেছে। এরপরও পলোগ্রাউন্ড মাঠের এক তৃতীয়াংশও পূর্ণ হয়নি।’

কেএস 

Link copied!