ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
জাতিসংঘ মহাসচিব

রোহিঙ্গারা বাড়ি ফিরতে চায়, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন এই সংকটের প্রধান সমাধান

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

মার্চ ১৪, ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম

রোহিঙ্গারা বাড়ি ফিরতে চায়, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন এই সংকটের প্রধান সমাধান

কয়েক দশক ধরে বৈষম্য ও নির্যাতনের পর আট বছর আগে রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার শিকার হয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল নামে বাংলাদেশে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে অনেকেই সাম্প্রতিক সময়ে এসেছেন। এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এখন বিশ্বের সহায়তা প্রয়োজন। তারা বাড়ি ফিরতে চায়, মিয়ানমার তাদের মাতৃভূমি। নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন এই সংকটের প্রধান সমাধান।  

শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।  

এদিন জাতিসংঘ মহাসচিব বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যান। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

এর আগে দুপুর ১টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স যোগে তিনি কক্সবাজারে পৌঁছান তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আজ আমি অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি এবং তাদের সাহসে অনুপ্রাণিত হয়েছি। তাদের সংকল্প আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। অনেকেই মিয়ানমারে তাদের যন্ত্রণা এবং তাদের এখানে আসার গল্প শেয়ার করেছেন।  

মিয়ানমারের সব পক্ষের প্রতি আমার বার্তা, সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন করুন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন। আর কোনও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এবং সহিংসতা উদ্রেক না করতে সহায়তা করুন।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখনও সংকটময়, বিশেষ করে রাখাইন রাজ্যে। যতক্ষণ না রাখাইনে সংঘাত এবং ব্যবস্থাগত নির্যাতন শেষ হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের তাদের সাহায্য করতে হবে। আমরা একটি গভীর মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে আছি। আর্থিক সহায়তায় কাটছাঁটের কারণে একটি অবর্ণনীয় বিপর্যয় হবে। মানুষ কষ্ট পাবে এবং মানুষ মারা যাবে।  

গুতেরেস বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বিশাল সহায়তা করেছে। তারা তাদের ভূমি, বন, সীমিত পানি এবং অপ্রচলিত সম্পদ ভাগ করে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখন সময় এসেছে সহায়তার। সময় নষ্ট করার কোনও সুযোগ নেই।  

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এর আগে ২০১৮ সালে আমি কক্সবাজারে এসেছিলাম। এই শিবিরগুলো জলবায়ু সংকটের সম্মুখীন। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা অত্যন্ত গরম এবং আগুনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় এবং বর্ষা মৌসুমে বন্যা এবং বিপজ্জনক ভূমি স্লাইড ঘরবাড়ি এবং জীবন ধ্বংস করে দেয়। আবশ্যক খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি, এখানে মানুষের শিক্ষার, দক্ষতা উন্নয়ন প্রয়োজন।  

জাতিসংঘের সংস্থাগুলো— যেমন মানবিক এবং উন্নয়ন সংস্থাগুলোও বিশাল বাজেট কাটছাঁটের মুখোমুখি।  
এটি মানুষের উপর সরাসরি এবং মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। শরণার্থী জনগণ মানবিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল। অবশেষে সমাধানটি মিয়ানমারে খুঁজে বের করতে হবে।  

আমরা ছেড়ে দেব না যতক্ষণ না পরিস্থিতি শরণার্থীদের জন্য নিরাপদ হয়। ততক্ষণ পর্যন্ত, আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।  

আরএস

Link copied!