ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
ডিএমপি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তারে লাগবে ‘ঊর্ধ্বতনের অনুমতি’

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

এপ্রিল ১২, ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তারে লাগবে ‘ঊর্ধ্বতনের অনুমতি’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি যে ঘটনায় যুক্ত ছিলেন, সে বিষয়ে উপযুক্ত প্রমাণ হাজির করার কথাও বলেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ( ১০ এপ্রিল) এসব নির্দেশনা দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে ডিএমপি।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্তে রুজু করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারনামীয় আসামির সংখ্যা অধিক।

এসকল মামলার এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের জন্য উপযুক্ত প্রমানকসহ (ভিকটিমবাদীপ্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ঘটনা সংশ্লিষ্ট ভিডিওঅডিওস্থির চিত্র ও মোবাইলের কল লিস্ট বা সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা সব সময় ট্রান্সপারেন্ট। কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানি শিকার না হন এবং প্রকৃত অপরাধীরা যেন ছাড়া না পান সে ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

পুলিশের আইন অনুযায়ী, মামলায় গ্রেপ্তার ও প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষমতা তদন্তকারী কর্মকর্তার রয়েছে। তবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলাগুলোতে ঢালাও আসামি করার বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পর পুলিশ ও সরকারের পক্ষ থেকে মামলা হলেই আসামে গ্রেপ্তার না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বারবার।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সারাদেশে শুরু হয় ঢালাও মামলা। এসব একেকটি মামলায় কয়েক হাজার করেও আসামি করা হয়েছে, যাদের অনেকের ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এরকম মামলা হয়েছে সারা দেশে দেড় হাজারেরও বেশি।

এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রতিপক্ষদেরও আসামি করার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া মামলায় আসামি করা ও আসামি গ্রেপ্তার নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন সময়। নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ও সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে, মামলার আসামি হলেই গ্রেপ্তার করা হবে না।

সঠিক তথ্যপ্রমাণ ছাড়া কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিকে গ্রেপ্তার না করতে গত ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদরদপ্তর থেকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ওই নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেসব মামলা হচ্ছে, সেগুলোর প্রাথমিক তদন্তে কারও বিরুদ্ধে সম্পৃক্ততা পাওয়া না গেলে তার নাম মামলা থেকে প্রত্যাহার করার কথাও বলা হয়েছে।

বিভিন্ন সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও বলেছেন, মামলা হলেই গ্রেপ্তার করতে হবে বিষয়টি এমন নয়।

গত ৫ অক্টোবর উত্তরায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মামলা হলেই গ্রেপ্তার নয়। আগে তদন্ত হবে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলেই কেবল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিআরইউ

Link copied!