Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

‘নারী ফুটবলারদের জয়ে উৎফুল্ল হলেও পর্দানশীল মেয়ের বেলায় চুপ কেন’

মো. মাসুম বিল্লাহ

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২, ০৯:৩১ পিএম


‘নারী ফুটবলারদের জয়ে উৎফুল্ল হলেও পর্দানশীল মেয়ের বেলায় চুপ কেন’

আলোচিত ইসলামীক স্কলার্স, বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শায়খ আহমদুল্লাহ তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বলেছেন, নারী ফুটবলারদের শিরোপা জয়ে যারা অতি উৎফুল্ল, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পর্দানশীল মেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করার ঘটনায় তাদের এতো উৎফুল্ল হতে দেখা যায় নি কেন?

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নারী সাফ চ্যাম্পিয়ানশিপ ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ নারী দল জয়লাভ করার পর থেকে নারী ফুটবলারদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ্য করে অনেকেই মন্তব্য করার পর শায়খ আহমদুল্লাহ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে তার ফেসবুক পেজে এ মন্তব্য করেন। 

নিম্নে তা হুবহু তুলে ধরা হলো: 

মহিলা ফুটবল দলের শিরোপা জেতায় যারা অতি উৎফুল্ল, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পর্দানশীন মেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করার ঘটনায় তাদের এতো উৎফুল্ল হতে দেখা যায় নি কেন? তবে কি তাদের লক্ষ্য নারীর উন্নতি নাকি উন্নয়নের নামে নারীর উন্মুক্ত উপস্থাপন?

যারা নারী ফুটবলারদের দিয়ে এদেশে ‍‍`ধর্মবিদ্বেষ‍‍` কায়েম করতে চাইছেন, তাদের ভাবখানা এমন যেন মহিলা ফুটবল দল নেপালের বিরুদ্ধে খেলতে নামে নি, বরং ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিল! বাস্তবতা হলো, এদেশের মানুষ ধর্মপরায়ণ। খেলোয়াড়রাও এর বাহিরে নন। 

আপনারা যাদের ‘ইউজ’ করে ইসলামবিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন, তাদের একজন আল্লাহর উপর ভরসার কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আরেকজন মাকে নামাজ-রোজা করতে বলেছেন।

কখনো আবার পুরো দল সিজদায় লুটিয়ে পড়ে। এ থেকে পরিষ্কার যে, তারা মুসলমানের সন্তান। তারা আমাদেরই বোন। হয়তো ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা তাদের নাই। যারা পাহাড়ী আছেন, তারাও আমাদের অংশ।

তাছাড়া এসব মেয়েরা নিতান্ত গরীব ঘরের সন্তান। যদি তারা একটু সচ্ছল ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতেন তাহলে তাদের কয়জন ফুটবলকে পেশা হিসেবে বেছে নিতেন সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ বিষয়। সুতরাং ‘নারীবাদ’-এর মতো বড়লোকি তত্ত্ব তাদের জীবনে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বহীন।

অতএব, এদের দিয়ে ইসলাম বিদ্বেষ ও আলেমদের প্রতি ঘৃণার চাষাবাদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এই দেশে সফল হবে না। বরং তাদের মধ্যে সামান্য দা’ওয়াতী কাজ করা গেলে এরা একেকজন হাজারো মানুষের হেদায়েতের কারণ হতে পারেন ইন শা আল্লাহ।

তবে এটা সত্য যে, যেটাকে খেলা বলা হচ্ছে সেটা মূলত: একটা সাংস্কৃতিক যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে যাদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অনেক সময় তারা নিজেরাও জানেন না যে, সামান্য পয়সার বিনিময়ে তাদের কোন্ কাজে ইউজ করা হচ্ছে। মহান আল্লাহ তাদের ও ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ লালনকারীদের হেদায়েত দান করুন।

টিএইচ

Link copied!