নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১৩, ২০২৫, ১১:৫১ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১৩, ২০২৫, ১১:৫১ পিএম
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শুক্রবার লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শুক্রবার রাতেই নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি। জাতীয় ঐক্যমত্যের প্রশ্নে, দেশের স্বার্থে সরকারের সাথে সকল রাজনৈতিক দলের সুসম্পর্কই কাম্য।”
তবে এ বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ ও সময় যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে, বিচার ও সংস্কার তেমনভাবে গুরুত্ব না পাওয়াকে ‘হতাশাজনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
হাসনাত আরও বলেন, “এই সরকার কেবলমাত্র নির্বাচন দেওয়ার জন্য নয়, এটি একটি অভ্যুত্থানের পর গঠিত, জনগণের অসংখ্য ত্যাগ ও আশা-আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে থাকা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সুতরাং, জুলাই মাসের মধ্যেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন, মৌলিক সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং নির্বাচন-কেন্দ্রিক সংস্কার বাস্তবায়ন নির্বাচনের পূর্বশর্ত।”
তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, “জুলাই সনদ প্রণয়ন ছাড়াই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ বা ঘোষণা সরকারের দায়বদ্ধতা থেকে সরে যাওয়ার সামিল। সনদ রচনার পরই নির্বাচন বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হওয়া উচিত।”
স্থানীয় পর্যায়ে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, প্রশাসনকে প্রভাবিত করা এবং পেশিশক্তির ব্যবহার বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, যা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত।”
হাসনাতের ওই পোস্টে মন্তব্য করেন এনসিপিরই এক প্রভাবশালী নেতা নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারী। তিনি লেখেন, “হাসনাত, ভোটে জেতা এত সহজ? মেম্বার ইলেকশন করলেও তো জিতবা না। আগে মেম্বার ইলেকশনে জিতে দেখাও।”
এই মন্তব্যের জবাবে হাসনাত বলেন, “আপনাদের সরকারকে আগে মেম্বার ইলেকশন দিতে বলেন।”
ইএইচ