ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ডিজেল রিজার্ভের চ্যালেঞ্জে সরকার

মহিউদ্দিন রাব্বানি

জুলাই ১৯, ২০২২, ০১:৩৮ এএম

ডিজেল রিজার্ভের চ্যালেঞ্জে সরকার

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র জ্বালানি সংকট। অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকছে বিশ্ব। জ্বালানির দাম অসহনীয় গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিজেল রিজার্ভের দিকে ঝুঁকছে সরকার। এরই প্রেক্ষিতে আজ থেকে সারা দেশে এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং হবে। 

তবে পরিস্থিতি উন্নতি না হলে দুই ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথাও জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। এই সংকট সাময়িক বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। জ্বালানি সংকট কমাতে একই সঙ্গে লোডশেডিং চলাকালে সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জ্বালানিবিষয়ক এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। 

মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে সাময়িক এই লোডশেডিং হবে। এ ক্ষেত্রে আগেই সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে। তবে লোডশেডিং কোথাও টানা দুই ঘণ্টা করা হবে না বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

 সূত্রটি জানিয়েছে, দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আধা ঘণ্টা করে সব মিলিয়ে এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হতে পারে। সেই সঙ্গে যানবাহনে জ্বালানির ব্যবহার কমানোর বিষয়েও পদক্ষেপ নেবে সরকার। 

প্রতিমন্ত্রী জানান, গাড়িতে তেল কম ব্যবহার করতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। নসরুল হামিদ আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময়ও এক থেকে দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনা যায় কি-না সে বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অফিসের বৈঠক অনলাইনে করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 

এ ব্যাপারে তিনি বলেন, করোনা মহামারির সময় আমরা বাসায় বসে অফিস করেছি। সুতরাং আমরা ভার্চুয়াল অফিস ও মিটিংয়ে অভ্যস্ত। এছাড়াও রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ রাখার আগের যে সিদ্ধান্ত রয়েছে, তা বাস্তবায়নে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়। 

সেই সঙ্গে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অফিস-আদালত ও বাসাবাড়ির এয়ার কন্ডিশনের (এসি) তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির ওপর রাখতে হবে এবং উপাসনালয়গুলোতেও বিদ্যুতে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান। বন্দর এলাকায় সপ্তাহে দুদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এলাকাভিত্তিক আমরা ঠিক করেছি। আগে থেকে আমরা গ্রাহকদের জানিয়ে দেব। সে অনুপাতে আমরা লোডশেডিংয়ে চলে যাব। এটা আমাদের বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য করা হচ্ছে। সরকারি অফিসগুলোতে কীভাবে সময় কমিয়ে আনা যায়, সেটাও ভাবা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। 

এসময় প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, দেশে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হবে। 

তিনি আরও জানান, আমরা আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনকে কমিয়ে যাতে আমাদের খরচ কম হয়, যেটা সহনশীল হয় সেই পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং ডিজেলে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন আপাতত স্থগিত করলাম। তাতে অনেক টাকা সাশ্রয় হবে। আপনাদের মনে রাখতে হবে, ডিজেলের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। ডিজেল ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনে আরও যত ব্যয় আছে সেটাও কমিয়ে আনতে হবে। 

তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকটের কথা তুলে ধরে বলেন, ধৈর্য ধরে যদি আমরা এটাকে সহ্য করে সবাই মিলে অতিক্রম করি, তাহলে ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আবার সুদিন আসবে। 

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন এক কর্মকর্তা জানান, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ডিজেলচালিতগুলো বন্ধ রাখা হলেও ফার্নেস অয়েলচালিত কেন্দ্রগুলো প্রয়োজনে চালু রাখা হবে। এদিকে বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানিও বন্ধ রাখা হয়েছে। মূলত সরকার ডিজেল মজুতের দিকে মনোযোগী হচ্ছে। 

গতকাল সচিবালয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাতকালে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়যুদ্ধে সবাইকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

বিশ্বে এখন বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকট চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাময়িক হলেও আমাদের এই যুদ্ধে জয়ী হতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয় এবং সরকারি-বেসরকারি অফিসের বিষয় নিয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে আমরা প্রস্তাব করেছি অফিসের সময় কমিয়ে আনা অথবা ভার্চুয়ালি অফিস করার বিষয় নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টিতে তার সিদ্ধান্ত জানাবেন। 

অফিস সময়ের বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, অফিসের সময় কমানো হতে পারে অথবা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করা হতে পারে। অফিসে যতটুকু না করলেই না এমনভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার বিষয়টি চিন্তা করছি। মানুষের কষ্ট যাতে না হয়, সেটা বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নেব। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আলোচনার পর্যায়ে আছে। 

এক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, বাসা থেকে কাজ করতে আমরা অভ্যস্ত। করোনাকালীন আমাদের সেই প্র্যাকটিস হয়েছে। তবে কোনটা করলে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয় হবে, সেটা আমাদের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে  হবে। তবে এটা সত্য যে, সারা বিশ্বে একটা যুদ্ধ অবস্থা বিরাজ করছে। সুতরাং আমাদেরও এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে বিলাসী গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে আনা হবে। যারা গাড়ির বিলাসী ব্যবহার করছেন, তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। সব জেলা প্রশাসকদের এ বিষয়ে অবহিত করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

গতকাল বিকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মঙ্গলবার (আজ) সন্ধ্যার পর থেকে এক সপ্তাহ জোনভিত্তিক একঘণ্টা করে লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এতে যদি সাশ্রয় কম হয়, তাহলে আরও এক ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সাশ্রয়ের জন্য ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা হবে। 

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে বৈঠকের পর মসজিদে এসি বন্ধের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী উপাসনালয়ে এসি বন্ধের বিষয়ে বলেন, শুধু মসজিদ নয়, উপাসনালয়ে (মসজিদ, মন্দির ও গির্জা) সবখানে প্রচুর এসি লাগানো হয়েছে। 

প্রার্থনার সময় বা নামাজের সময় তারা যেন মিতব্যয়ী হয়ে এসি চালান। প্রার্থনা শেষ হলে তারা যেন এসি সময় মতো বন্ধ করেন, আমার সাজেশন এটাই থাকবে। আমাদের এভাবে আলোচনা হয়েছে।

নসরুল হামিদ বলেন, পেট্রোল পাম্প সপ্তাহে একদিন বন্ধ রাখার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। বিপিসি পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। 

বিশ্বে জ্বালানি সংকটের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ নানা রকম সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ করেছে। কিছু কিছু দেশ দাম বৃদ্ধি করেছে। কেউ কেউ সাশ্রয়ী নীতি নিয়েছে। 

তিনি বলেন, দেশে যে পরিমাণ ডিজেল আমদানি হয়, তার ১০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার হয়। আর বাকি ৯০ ভাগ ব্যবহার হয় অন্যান্য খাতে। এখন যদি আমরা ১০ ভাগ বিদ্যুৎ বন্ধ করার পর যদি অন্য খাত থেকে আরও ১০ ভাগ বাঁচাতে পারি, তাহলে আমাদের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। 

ডিজেলের বিদ্যুতের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি উৎপাদন ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা। কিন্তু আমরা বিক্রি করে এই অর্থ পাচ্ছি না। তিনি বলেন, আমরা এখন গ্যাস প্রতি এমএমবিটিইউ ৩৯ ডলারে কিনে এনে সাত টাকায় বিক্রি করছি।

এদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এই সিদ্ধান্ত অমান্য করলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। কয়েক বছর ধরে সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের অভ্যাসের কারণে বিদ্যুতের যাওয়া-আসা মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে, সামাজিক মাধ্যমে অসন্তোষের কথা তুলেও ধরছেন হাজারো মানুষ। 

সরকার বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য, বিশেষ করে এলএনজির দামে লাফ, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কয়লা সরবরাহে বিঘ্নের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে হয়েছে। 

পাওয়ার সেলের তথ্যানুযায়ী, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৫ হাজার মেগাওয়াট। সেই জায়গায় উৎপাদন হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত।

জ্বালানি তেলের দাম বেশি বলে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও পূর্ণ সক্ষমতায় চালানো যাচ্ছে না। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং কোভিড-পরবর্তী চাহিদা বাড়ায় আগামী কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম বাড়তির দিকে থাকবে বলেই পূর্বাভাস আছে। 

গত এক যুগে বিদ্যুৎ খাতে নানা পদক্ষেপের পরও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতির কারণে লোডশেডিং ফিরে আসার পর অসন্তোষের মধ্যে গত ৫ জুলাই এই সংকটের কারণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

ওইদিন সরকারপ্রধান বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, গ্যাসসহ বিদ্যুৎ তৈরির উপকরণের দাম বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে পরিবহনব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশেই বিদ্যুতের জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, এখন কয়লা থেকে ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ, গ্যাস থেকে ৫০ দশমিক ৮৪ শতাংশ, ফার্নেস অয়েল থেকে ২৮ শতাংশ এবং ডিজেল থেকে ৬ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এ অবস্থায় জ্বালানি সাশ্রয়ী নীতির কারণে দিনে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। 

সেই ঘাটতি সমন্বয় করতে গ্রাহক পর্যায়ে দিনে এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হবে, আর এলাকাভিত্তিক এই লোডশেডিং শুরু হবে আজ থেকেই। কোথায় কখন লোডশেডিং হবে, তা জানিয়ে দেবে বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানিগুলো। 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ জ্বালানির আন্তর্জাতিক বাজারে যে অস্থিরতা তৈরি করেছে, তার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। প্রায় শতভাগ জ্বালানি তেল আমদানি করা বাংলাদেশের পরিবহন খাতের ৯০ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৩৪ শতাংশ তেল নির্ভর। 

ভর্তুকি বেড়ে যাওয়ায় সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় এলএনজি কেনার পরিমাণও কমানো হয়েছে। তাতে দেশজুড়ে লোডশেডিং ফিরে এসেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে ডলার। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চাপ পড়ছে রিজার্ভে। খোলাবাজারে ডলারের বিনিময় হার ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম এ ব্যাপারে বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমদানি-নির্ভরতা কমাতে আগে উদ্যোগ নেয়নি সরকার। রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বা তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যখন স্থাপন করা হয়েছে, তখন দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য সেগুলো দরকার ছিল। 

তামিম মনে করেন, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বিকল্প হিসেবে কয়লা ও পরমাণুবিদ্যুৎ চালু করার উদ্যোগ দ্রুত না নেয়ায় বর্তমান সংকট তৈরি হয়েছে।
 

Link copied!