ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

শিক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি সংকট

মুছা মল্লিক

অক্টোবর ২, ২০২২, ০১:২২ এএম

শিক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি সংকট

করোনায় পর্যুদস্ত হয়েছে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা। গ্রাম হোক অথবা শহর; কোনো শিক্ষার্থীই এই ছোবল থেকে রেহাই পায়নি। তবে শহর অপেক্ষা গ্রামের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মহামারির এই আঘাত একটু বেশি।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, মহামারির ছোবলে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়েছে। এদের কেউ কেউ বাল্যবিয়ে, কেউ মানসিক চাপ, কেউ আবার আর্থিক টানাপড়েনে উপার্জনের তাগিদে শিক্ষা ছেড়ে শ্রমিকে রূপ নিয়েছে। কেউবা আবার যোগ দিয়েছে ভয়ঙ্কর কিশোর গ্যাংয়ের হরেক রকম গ্রুপেও।

তবে তারা যে কারণেই ঝরে পড়ুক না কেন এদের স্কুল, কলেজ অথবা ইউনিভার্সিটিতে ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট উদ্যোগের অভাব স্পষ্ট। সরকারিভাবেও নেই কার্যকর ‘রিকভারি প্লান’। অপরদিকে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘টিউশন ফি’র গ্যাঁড়াকলে উচ্চশিক্ষার ঝাঁজালো স্বাদ ছেড়ে কতজন যে ভিন্ন পথে হেঁটেছে তার পরিসংখ্যান নেই।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখা গেছে, মহামারিতে অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক অসচ্ছলতায় টিউশন ফি দিতে না পারায় তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়নি। যারা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে পরীক্ষা দিতে পারলেন না তাদের ওপরই আবার অতিরিক্ত ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকার রি-এডমিশন ফি চাপিয়ে দেয়া হলো।

এতে শিক্ষার্থীদের ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্যকে চিরতরে নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। তবে মহামারির ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত এই ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে পেছনে ফেলে দেশ কিভাবে সামনে এগিয়ে যাবে এ প্রশ্নটিও উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে।

এদিকে সরকারিভাবে বারবার শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে তোড়জোড় চলচলেও শেষ অবধি এসব উদ্যোগ আলোর মুখ দেখছে না। এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা যেমন জীবনবোধ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে অপরিকে দীর্ঘমেয়াদি সংকটেও পড়ছে দেশের শিক্ষা খাত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারি জরিপ-গবেষণা ও ক্ষতি পুশিয়ে নিতে যে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন তা পর্যাপ্ত নয়। যুক্তরাজ্য সরকার এক বিলিয়ন পাউন্ডের ‘পিউপিল ক্যাচ-আপ ফান্ড’ গঠন করেছে। এর মধ্যে ৭৬ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করা হবে ‘জাতীয় টিউটরিয়াল প্রোগ্রামে’। যেই প্রোগ্রামের আওতায় অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আনা হবে।

তবে বাংলাদেশে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে কাউন্সেলিং এবং ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের আর্থিক প্রণোদনার ক্ষেত্রেও দৃশ্যমান উদ্যোগের অভাব। প্রাথমিক সেকশনের স্কুলগুলোতে মিড মিলের কথা বলা বলে হলেও হ-য-ব-র-ল অবস্থায়। অপরিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লাগামহীন টিউশন ফি নিয়ে সরকারি হস্তক্ষেপ না থাকায় সেখানে মহামারির ভয়াবহতাও ছাপিয়ে গেছে।

ব্র্যাক ও পিপিআরসির (পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার) সদ্য সমাপ্ত গবেষণায় বলা হয়েছে, গত বছরে শিক্ষা খরচ বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ। ফলে শিক্ষার সুযোগ প্রাপ্তিতে দেখা দিয়েছে সংকট। এ অবস্থায় স্কুলগামী ছেলে শিশুদের ৮ শতাংশ ও মেয়ে শিশুদের ৩ শতাংশকে উপার্জনের পথে যেতে হয়েছে। 

শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে গবেষণায় বলা হয়, পড়াশোনার ক্ষতি এড়াতে কোচিং, গৃহশিক্ষকসহ অন্য মাধ্যমে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্তরের ৫১ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরের ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। বাকিরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত।

প্রতিবেদন আরও বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বয়সি (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি) শিশুদের স্কুলে নেয়া ও ধরে রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারত ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে। বাংলাদেশে প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বয়সি শিশুর সংখ্যা দুই কোটি ৬০ লাখ। এদের মধ্যে ৫৬ লাখই স্কুলের বাইরে। এর অর্থ বাংলাদেশে প্রাথমিক স্কুল বয়সি ১৬ দশমিক ২ শতাংশ শিশু স্কুলে যায় না। এই হার ভারতে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ ও শ্রীলঙ্কায় ১ দশমিক ৯ শতাংশ।

বিআইজিডি এবং জিআইজেডের ‘অ্যাডোলেসেন্ট গার্লস ভালনারাবিলিটিজ অ্যান্ড ট্রানজিশান ইন দ্য কনটেক্সট অব কোভিড-১৯’ শীর্ষক এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুল ছেড়েছে। আর ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছে না। এর মধ্যে করোনার আগে ও পরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরী বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ছেলে ১২ শতাংশ এবং মেয়ে ৫ শতাংশ।

এদিকে বেসরকারি সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) বলছে, করোনায় বাংলাদেশ দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে। আগে এটি ছিল ২০.৫ শতাংশ। চরম দরিদ্র অবস্থার  মধ্যে আছেন ২৮.৫ শতাংশ মানুষ। করোনায় বাল্যবিয়েও বেড়েছে। এই সবগুলোর অভিঘাতই পড়েছে শিক্ষার ওপর। তবে শিক্ষা খাতের সংকট মোকাবিলায় পাঁচ বছরের একটি প্রকল্প নিয়ে জোর প্রচার চালিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ কর্মসূচির মাধ্যমে দুপুরের খাবার সরবরাহ, প্রতিটি স্কুলে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা এবং শিক্ষার প্রচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছিল। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে উপজেলা পর্যায়ে মনোবিদ নিয়োগ দেয়ার কথাও বলেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সংখা, ক্ষতির ধরণ এবং এলাকাভিত্তিক ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে বিস্তর গবেষণা না থাকায় তা অন্ধকারেই রয়ে গেছে।

ইউনিসেফের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা উপজেলাগুলোতে ৪৫ শতাংশ শিশুই স্কুলের বাইরে রয়েছে। কর্মজীবী শিশু, প্রতিবন্ধী শিশু ও দুর্যোগকবলিত প্রত্যন্ত এলাকার শিশুরা প্রায়ই শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্কুলে যাওয়ার উপযুক্ত প্রায় ৬২ লাখ শিশু এখনো শিক্ষার বাইরে রয়ে গেছে। তাদের বেশির ভাগের বসবাস শহরের বস্তি বা দুর্গম অঞ্চলে। এদের মধ্যে ৪৬ লাখ শিশুই প্রাথমিক স্কুলে যাওয়ার বয়সি। প্রতি পাঁচ শিশুর মধ্যে একজন শিক্ষার বাইরে চলে যাচ্ছে মূলত বাল্যবিয়ে ও শিশুশ্রমের কারণে এবং কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বাংলাদেশে তিন কোটি ৭০ লাখ শিশুর ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমপ্রতি রাবের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রায়ই দেখা যায় স্কুল ড্রপআউট ছেলেরা (যারা কিছু করে না) তারা স্থানীয় অন্য ছেলেদের কিশোর গ্যাং গ্রুপে আসার জন্য বাধ্য করে। অনেক সময় মনের মিল হলে অন্যরাও যুক্ত হয় এসব দলে। এসব গ্যাং গ্রুপের বেশির ভাগ সদস্য করোনাকালীন সময়ে নানা প্রতিবন্ধকতায় শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়েছে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান আমার সংবাদকে বলেন, ‘ড্রপআউট আগেও হয়েছে। তবে করোনায় যারা ড্রপআউট হয়েছে এদের বেশির ভাগ বিভিন্নভাবে কাজে জড়িয়ে পড়েছে। কাজ করলেই এরা যেহেতু টাকা পাচ্ছে সেহেতু পরিবারগুলো থেকেও এ ধারাবাহিকতা রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা রাখছে। এ সব শিক্ষার্থীকে এখনো ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি স্কুলে শিক্ষকদের দায়িত্ব রয়েছে। যে সব শিশু নিয়মিত স্কুলে আসছে না তাদের খোঁজ নেয়া ও তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে স্কুলে ফিরিয়ে আনতে অনুপ্রাণিত করা প্রয়োজন। একই সাথে স্কুলে দুপুরে একবেলা পুষ্টিকর খাবার  দেয়ার যে প্রকল্প আছে তা নিশ্চিত করা উচিত। অনেক শিক্ষার্থী এমন রয়েছে যে, একবেলা খাবার তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এমন উদ্যোগও শিক্ষার্থীদের ফিরে আসার একটি পথ। আমাদের আশেপাশের স্বল্পআয়ের সব দেশেই করোনার প্রভাবে ড্রপআউট বেড়েছে। আমাদের দেশেও এর বাইরে নয়। সুতরাং আমাদের দেশের ড্রপআউটের বিষয়টি অস্বীকার না করে এদের গুরুত্ব দিয়ে স্কুলে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাদের ফিরিয়ে আনা না গেলে আমাদের শিক্ষিতের হার যে বেড়েছে তা স্থবির হয়ে পড়বে। একই সাথে এই শিশুগুলো লেখাপড়া না করলেও যেহেতু বড় হবে সেহেতু দক্ষ জনশক্তি না হয়ে অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে বড় হবে। এ কারণেই এ শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। যে পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করলে তারা ভালো মানের একটি কাজ পেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতার বিকল্প নেই। ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে পৃথিবীর অনেক দেশেই প্রণোদনা দেয়া হয়েছে, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ড্রপআউটের বাইরে করোনায় শিক্ষার্থীদের যে শিখন ঘাটতি হয়েছে তা পূরণে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার্থীদের ইংরেজি, গণিত ও ভাষাজ্ঞানে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণেও পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি বরাদ্দ দিয়ে শুক্র ও শনিবারও অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’

এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী আমার সংবাদকে বলেন, ‘করোনার প্রভাব শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা পৃথিবীতেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অনেক দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা থাকায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কম। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোষাতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যথেষ্ট চেষ্টা করেছে। তবে করোনাকে কেন্দ্র করে যে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাধা ও রি-এডমিশন বিড়ম্বনায় ফেলেছে— তা অনুচিত। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের বরং ওয়েভার দিয়ে তাদের শিক্ষাজীবনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ভূমিকা রাখার প্রয়োজন ছিল। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য ইউজিসির মাধ্যমে সরকারি প্রণোদনা গ্রহণ অথবা কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সহায়তা কাজে লাগানো দরকার ছিল।’

সাবেক এই উপাচার্য বলেন, ‘করোনায় ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের কারণে আগামীতে নিশ্চয় সংকট তৈরি হবে। করোনা পরবর্তী প্রভাব এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সুতরাং যে সব শিক্ষার্থী ঝরেপড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের যেকোনো মূল্যে ফিরিয়ে আনতে হবে। এসব শিক্ষার্থীকে ফিরিয়ে আনতে না পারলে স্থায়ী সংকট সৃষ্টি হবে। এরা না হবে শিক্ষিত আর না হবে কোনো কাজের জন্য উপযুক্ত। যেহেতু করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে— তাই আপাতত হতাশার কিছু নেই। তবে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য যদি বিশেষ উদ্যোগ না নেয়া হয় তবে এমন সিদ্ধান্ত আমাদের দুর্ভোগ বয়ে আনবে।’

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক সচিব ও গবেষক ড, প্রশান্ত কুমার রায় আমার সংবাদকে বলেন, ‘নিম্ন আয়ের ছেলে-মেয়েদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা আরও বাড়াতে হবে যাতে তাদের আবার স্কুলে পাঠানো যায়। বাল্যবিয়ে ও শিশুশ্রম বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে বড় ধরনের ক্যাম্পেইনের দরকার রয়েছে। একই সাথে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা না গেলে ও শিখন ঘাটতি পূরণ সম্ভব না হলে একটি প্রজন্ম অন্ধকারেই আত্মপ্রকাশ করবে।’  

Link copied!