ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

পল্লবী কলেজে দুদকের অনুসন্ধান দাবি

নূর হোসাইন

নূর হোসাইন

জুলাই ২৫, ২০২৩, ১২:১১ এএম

পল্লবী কলেজে দুদকের অনুসন্ধান দাবি

জালিয়াতির মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের (বর্তমানে বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজ) অধ্যক্ষ ও প্রভাষক নিয়োগ দেয়া হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের পর কলেজটির অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ৮ মে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মাসুম আলী বাদী হয়ে কুমিল্লায় মামলাটি করেন। মামলার তদারক কর্মকর্তা রাফী মো. মোহাম্মদ নাজমুস সা’দাৎ। 

আসামিরা হলেন— কলেজটির অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহিম ও তার স্ত্রী বাংলা বিভাগের প্রভাষক রত্না খানম ওরফে রত্না বেগম, সাবেক সহকারী অধ্যাপক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল কাদের এবং বাংলা একই বিভাগের প্রাক্তন সহযোগী অধ্যাপক ও নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যাপক সায়েরা বেগম। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, নিয়োগবিধি অনুযায়ী অধ্যক্ষ পদের জন্য ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হলেও আসামি আব্দুর রহিমের অভিজ্ঞতা এক বছর চার মাস ২৯ দিন কম ছিল। কিন্তু ২০১০ সালে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকাকালীন সময়ে আসামি আবদুল কাদের নিয়োগবিধি লঙ্ঘন করে পূর্ববর্তী কলেজের ছাড়পত্র জমা না নিয়েই মো. আব্দুর রহিমকে অধ্যক্ষ পদে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া দেন। শুধু তাই নয়, আসামি আব্দুর রহিম পূর্বের কলেজ থেকে ২০০৫ সালে সাময়িক বরখাস্তও ছিলেন, যা তিনি নিয়োগ নেয়ার সময় গোপন করেন। অন্যদিকে আসামি আব্দুর রহিম অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব নেয়ার পর তার স্ত্রী রত্না খানম ওরফে রত্না বেগমকে প্রভাষক (বাংলা) পদে অবৈধভাবে নিয়োগ ও যোগদানের ব্যবস্থা করেন। বাঞ্ছারামপুর ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ে তখন বাংলা বিভাগ ছিল না। কিন্তু অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহিম তার স্ত্রী রত্না খানম ওরফে রত্না বেগমকে ওই কলেজে নিয়োগ দেয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে সমাজকল্যাণ বিভাগের পরিবর্তে পরিকল্পিতভাবে কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে বাংলা বিভাগ চালু করেন। 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নিয়োগ পরীক্ষার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এর ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে ওই পদে প্রথমে সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) নূর মোহাম্মদকে মনোনয়ন দেয়া হলেও বাঞ্ছারামপুর ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের রেকর্ডে তা ফ্লুয়িড দিয়ে টেম্পারিং করে নূর মোহাম্মদের পরিবর্তে হাত দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক আসামি সায়েরা বেগমের নাম যোগ করা হয়। পরবর্তীতে একই স্মারকে আসামি সায়েরা বেগমের নাম উল্লেখ করে সংশোধিত স্মারক প্রতিস্থাপন করা হয়। ওই কলেজে প্রভাষক (বাংলা) ছয়টি পদে নিয়োগের জন্য কমপক্ষে ১২ জন প্রার্থীর প্রয়োজনীয়তা থাকা সত্ত্বেও সেখানে মাত্র পাঁচজন প্রার্থী ছিলেন। আসামি সায়েরা বেগম পরীক্ষা কমিটির বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে বা অধ্যক্ষ আবদুর রহিম নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব হিসেবে কোনো আপত্তি উত্থাপন করেননি বা পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ব্যবস্থা করেননি। আসামি রত্না খানম ওরফে রত্না বেগম নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে চতুর্থ হন। পরিকল্পনা অনুযায়ী সায়েরা বেগম ও রত্না খানমসহ চারজনকে নিয়োগের সুপারিশ করেন। অন্যদিকে যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও জালিয়াতির মাধ্যমে তথ্য গোপন করে সরকারি বিধান লঙ্ঘন করার অভিযোগে রংপুরের সমাজকল্যাণ বিদ্যাবিথী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাহিদ ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা করেছে রংপুর দুদক। মামলার বাদী রংপুর দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, সমাজকল্যাণ বিদ্যাবিথী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাহিদ ইয়াসমিন ১৯৭৭ সালে রাজশাহী বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক তৃতীয় বিভাগে, ১৯৭৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও তৃতীয় বিভাগে, ১৯৮২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে স্নাতক পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে এবং ১৯৮৩ সালে একই বিভাগ থেকে এমএ পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৯৫ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী দুটি বিভাগে তৃতীয় শ্রেণী থাকায় তার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের আবেদন করার যোগ্যতাই ছিল না। 

মামলায় বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরের অনুসন্ধানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র ও সাক্ষীর বক্তব্য পর্যালোচনায় দেখা যায় নাহিদ ইয়াসমিন ১৯৮৭ সালের ৭ জুলাই ওই প্রতিষ্ঠানে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৮ সালের ১ মার্চ এমপিওভুক্ত হন। তিনি ১৯৯৫ সালে একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ওই পদে দায়িত্ব পালনকালে সাবেক অধ্যক্ষের অবসরজনিত কারণে ২০০১ সালের ৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ম্যানেজিং কমিটি সভার সিদ্ধান্তের আলোকে রংপুর থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় ২০০২ সালের ১৬ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা কী হবে তা ইচ্ছাকৃতভাবে উল্লেখ করা হয়নি। এমপিওভুক্ত বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অধ্যক্ষ নিয়োগ সংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শ্রেণীর অনার্সসহ দ্বিতীয় শ্রেণীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। সব পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে। জনবল কাঠামো ১৯৯৫ অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে দুটি তৃতীয় শ্রেণি গ্রহণযোগ্য ছিল না। যেহেতু নাহিদ ইয়াসমিনের অধ্যক্ষ নিয়োগকালে দুটি তৃতীয় বিভাগ ছিল, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নিয়োগে চরম অনিয়ম হয়েছে। 

মামলার বাদী দুদক রংপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ জানান, নাহিদ ইয়াসমিন নীতিমালা অমান্য করে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর আবেদন করা হয়। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করে দুদক। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়। আর পল্লবী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ইসমাইল হোসেন ও শিক্ষকরা। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, পল্লবী কলেজে কর্মরত উপাধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমানকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বিধি বহির্ভূত নিয়োগ কমিটি গঠন করে সভাপতি আবু মো. শায়খুল ইসলাম নিয়োগ প্রদান করেন, এর ফলে তৎকালীন গভর্নিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য জাহাঙ্গীর এইচ সিকদার ওই নিয়োগ কমিটি পুনর্গঠন করার জন্য কলেজ সভাপতির বরাবর আবেদন করেন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবরও আবেদন করেন এবং তিনি ওই বছরের অক্টোবরের ২৪ তারিখ হাইকোর্টে রিট পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১৪৭১৪/২০১৭ এবং বিষয়টি ২৪ অক্টোবর ২০১৭ইং মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষা ভবন ঢাকা (মাউশি)কে ও ২৬ অক্টোবর উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ঢাকা অঞ্চলকে জানানো হয়। অভিযোগ রিটের বিষয়টি গোপন রেখে তাকে এমপিওভুক্ত করা হয়। 

ইতোমধ্যে অধ্যক্ষ মর্জিনা রহমান ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর অবসরে গেলে ওই উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। অভিযোগ মাহবুবুর রহমান শূন্য পদে অধ্যক্ষের নিয়োগের ব্যবস্থা না করে তার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষ পদে আবেদনের যোগ্যতা অর্জনের জন্য সময় ক্ষেপণ করে দীর্ঘ তিন বছর অবৈধভাবে কলেজ পরিচালনা করেন। এ বিষয়ে ১৫ মার্চ ২০২২ সালে আরেকটি রিট পিটিশন দায়ের করেন কলেজ প্রতিষ্ঠাতা। যার নং- ৩৫২৮, এই মামলায় রুল জারি হয়। গত ২০২২ সালের ২৯ জুন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি হয়, সেখানে অধ্যক্ষ পদ শূন্য হলে অধ্যক্ষের অবর্তমানে এক বছরের অধিক সময়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই এরপরও মাহবুবুর রহমান দায়িত্ব পালন করেন, বিধায় কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ইসমাইল হোসেন ২০ জুলাই ২০২২ ইং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর আবেদন করেন। তখন ৩০ জুলাই ৭ কার্য দিবসের মধ্যে বিধি অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করতে কলেজ সভাপতিকে পত্র প্রদান করেন। সভাপতি ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পুনরায় ৮ নভেম্বর ২০২২ একই স্মারকে কলেজ সভাপতিকে পত্র প্রদান করেন। এরপর ১৮ নভেম্বর ২০২২ ইং বিধি বহির্ভূতভাবে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হোসনে জাহান সহকারী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান ) এর কোনো মতামত না নিয়ে ষষ্ঠতম কনিষ্ঠ শিক্ষক শেখ মোহসেনা মুক্তা সহকারী অধ্যাপককে (সমাজবিজ্ঞান) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন। 

এ বিষয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ইসমাইল হোসেন ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ইং ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হোসনে জাহান ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ইং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং সাত কার্য দিবসের মধ্যে বিধি মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করতে সভাপতিকে পত্র প্রদান করেন এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অনুলিপি প্রদান করেন। পত্র অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ না করে কলেজ গভর্নিং বডি পূর্বের সিদ্ধান্ত বহাল রাখায় পুনরায় কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং ও হোসনে জাহান জ্যেষ্ঠ সহকারী অধ্যাপক পহেলা মার্চ ২০২৩ ইং উপাচার্য বরাবর অভিযোগ প্রদান করেন। ওই অভিযোগের তদন্ত ২৫ মার্চ সম্পন্ন করে তদন্ত কর্মকর্তা ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ইং পরিদর্শন প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদন সঠিক না হওয়ায় কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ৫ জুন ২০২৩ ইং না রাজি প্রদান করেন। বিধি মোতাবেক দুটি জাতীয় পত্রিকায় অধ্যক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের শর্ত থাকা সত্ত্বেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিধি অমান্য করে ২২ নভেম্বর ২০২২ ইং শুধু একটি জাতীয় দৈনিকে অধ্যক্ষ শূন্য পদে আবশ্যক উল্লেখ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন। ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় পুনরায় ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ দুটি পত্রিকায় আবশ্যক উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন, প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি কলেজ নোটিস বোর্ডে দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা প্রকাশ না করে গোপন রাখেন। উপাধ্যক্ষ নিজে অধ্যক্ষের প্রার্থী হন এবং কলেজের অপর এক সহকারী অধ্যাপক, অধ্যক্ষ পদে আবেদন করলে তার আবেদন হাতে হাতে গ্রহণ না করায় তিনি রেজিস্ট্রারি এ ডি করে ডাকযোগে পাঠালেও  তা গ্রহণ করা হয়নি এবং অনেকের আবেদন গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ । 

১৬ মে ২০২৩ ইং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজকে অধ্যক্ষ নিয়োগ নির্বাচনি বোর্ডের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি পত্র দেন, আর অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মিথ্যাচার করে ছাত্রছাত্রী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে ১৮ জুন ২০২৩ ইং কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে গোপনে ওইদিনই অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকরির শর্তাবলী রেগুলেশন (সংশোধিত) ২০১৯-এর পরিপন্থী মাদ্রাসা পর্যায়ের পাঠদানের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন উপাধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমানকে অধ্যক্ষ হিসেবে বর্তমান সভাপতি নিয়োগ কমিটির মাধ্যমে সুপারিশ করানো হয় আর উপাধ্যক্ষ এর নিয়োগ নিয়ে রিট চলমান থাকায় ১৮ জুন ২০২৩ ইং একটি লিগাল নোটিস তাকেসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশিতে প্রেরণ করেন এসব উপেক্ষা করে সভাপতি ২০ জুন ২০২৩ ইং গভর্নিং বডির সভায় অধ্যক্ষ নিয়োগের সুপারিশ অনুমোদন করে অধ্যক্ষ নিয়োগের লক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বানুমতির জন্য পত্র প্রেরণ করেন, উপাধ্যক্ষের নিয়োগের বিষয়ে চলমান দুটি রিটের নিষ্পত্তি না করে গভর্নিং বডির সভাপতি আবু মো. শায়খুল ইসলাম মো. মাহবুবুর রহমানকে উপাধ্যক্ষ থেকে অধ্যক্ষ নিয়োগ অনুমোদন করেন। 

তাই শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা ইসমাইল হোসেন বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, মাউশির মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনাসহ কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ইসমাইল হোসেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ করে অনুসন্ধান দাবি করেছেন।

Link copied!