ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
মেট্রোরেলে টিকিট কাটার স্বয়ংক্রিয় মেশিন অকেজো

ভোগান্তি বাড়ছে ভ্রমণকারীদের

আব্দুল কাইয়ুম

আব্দুল কাইয়ুম

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০১:১৬ এএম

ভোগান্তি বাড়ছে ভ্রমণকারীদের
  • চালুর দিন থেকেই রয়েছে অভিযোগ
  • কোনো না কোনো স্টেশনে মেশিন অকার্যকর থাকছেই
  • টিকিট ও টাকা ফেরত না পাওয়ার অভিযোগ অনেকের
  • মেশিন ত্রুটির কারণে টিকিট কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন

যাত্রীদের রঙ কমান্ডে এমন হয় তবে দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে
—মোহাম্মদ আবদুর রউফ, কোম্পানি সচিব, ডিএমটিসিএল

মেট্রোরেলে একক টিকিট কাটতে গিয়ে প্রায়ই মেশিন অকেজোর ভোগান্তি পোহাতে হয়। যাত্রীরা সময় বাঁচাতে লাইনে না দাঁড়িয়ে মেশিন ব্যবহারে নানা সমস্যায় পড়তে দেখা গেছে। মেট্রোরেলে একক যাত্রার টিকিট কাটার জন্য প্রত্যেক স্টেশনেই চারটি করে স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডর মেশিন রয়েছে। যাত্রীরা যাতে এগুলোতে টাকা ঢুকিয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু চালু হওয়ার দিন থেকেই এই মেশিনে দেখা দেয়া ত্রুটি যাত্রীদের অতিষ্ঠ করে ফেলেছে। সরেজমিন দেখে এবং ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষা থাকায় শাহবাগ স্টেশনে যাত্রীদের বাড়তি চাপ। এতে করে অনেকে দীর্ঘ লাইনে না দাঁড়িয়ে ভেন্ডর মেশিনে টিকিট কাটতে লাইনে দাঁড়ায়। কিন্তু কিছু টিকিট কাটতেই চারটি মেশিনের মধ্যে তিনটির কার্যক্রমই বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অনেক চেষ্টা করেও টিকিট কাটতে পারেননি। মেশিনে টাকা দেয়ার পর টিকিট ও টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেন অনেকে। শুধু শাহবাগ নয়, প্রতিটি স্টেশনেই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রায় দিনই কোনো না কোনো স্টেশনের মেশিন কিছু সময়ের জন্য অকার্যকর থাকছেই। বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের সব স্টেশন রাত পর্যন্ত চালু হওয়ায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে মেশিনগুলোয় সমস্যাও। তাছাড়া বিভিন্ন দিবস ও গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে বাড়তি চাপ থাকায় অকেজো থাকে মেশিন।

উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সব স্টেশনে রাত পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হওয়ায় যাত্রী বেড়ে যায় বহুগুণ। তবে এখনও বেশিরভাগ যাত্রী একক যাত্রার টিকিট কেটে যাতায়াত করেন। তাই মেশিন অকেজো হওয়ায় বাড়ছে ভোগান্তি। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ালেও লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়। মেশিন অকেজো হলে আবার নতুন করে অন্য লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। মেশিন হঠাৎ অকেজো হলে সমস্যার সমাধান হতেও সময় লাগে। ভুক্তভোগী যাত্রী সাদ্দাম নামের একজন জানান, আমি দ্রুত যাওয়ার জন্য মেট্রোরেলে আসি কিন্তু দীর্ঘ লাইন দেখে মেশিনে টিকিট কাটতে গিয়ে সমস্যায় পড়ি। টাকা দেয়ার পর টিকিট ও টাকা কোনোটাই পাইনি। অনেক চেষ্টার পরও টাকা ফেরত আনতে পারিনি। পরে বাধ্য হয়ে প্রায় এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হয়েছে। এভাবে চললে তো মানুষের দুর্ভোগ কমবে না। তাছাড়া আমাকে দুইবার করে টাকা দিতে হয়েছে।

সাইফ নামের এক শিক্ষার্থী জানান, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপরীক্ষা দিতে এসেছি। রাস্তায় তীব্র যানজট থাকায় মেট্রোরেলে যাওয়ার চিন্তা করি। কিন্তু এসে দেখি মেট্রোরেলের টিকিটেও দীর্ঘ লাইন। আমাকে টিকিটের জন্য আরও ৪০ মিনিটি অপেক্ষা করতে হবে। আলাদাভাবে টিকিট কাটার মেশিনগুলো কাজ করছে না। ফলে অনেকক্ষণ ধরে লাইনে থেকে টিকিট কাটতে হচ্ছে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানায়, মানুষের বাড়তি চাপের কারণে মাঝে মাঝে ভেন্ডর মেশিনগুলো সমস্যা দেখা দেয়। ঢাবির ভর্তিপরীক্ষা থাকার কারণে আজ (গতকাল) শাহবাগ স্টেশনে বেশি চাপ থাকে। এ জন্যই মানুষকে কিছুটা সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হয়েছে। উৎসুক যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপে মেশিন অকেজো হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি হওয়ায় যাত্রীরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারায় এমনটা হচ্ছে বলে জানান তারা।

শাহবাগ স্টেশনের অন্য যাত্রী বলেন, অনেকক্ষণ ধরে মেশিন নষ্ট থাকলেও কেউ মেশিন ঠিক করার জন্য আসছে না। এগুলো চালু থাকলে দ্রুত টিকিট কাটা সম্ভব হয়। ঢাকায় সন্ধ্যার দিকে রাস্তায় খুব যানজট থাকে। রিকশা দিয়েও গন্তব্যে যাওয়ার মতো অবস্থা থাকে না। তাই আমরা মেট্রোরেলে যাওয়ার জন্য আসছি। তাতে লাভের বদলে উল্টো দাঁড়িয়ে থেকে পা ব্যথা হয়ে যায়। 

মেশিন অকেজোর বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানি সচিব (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ আবদুর রউফ আমার সংবাদকে বলেন, যাত্রীদের যখন বাড়তি চাপ থাকে তখন এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। মেশিন পুরোপুরি নষ্ট বিষয়টি এমন না। যাত্রীদের থেকেও একাধিক রং কমান্ড দেয়া হয়। তারা মেশিনে ভাংতি টাকা প্রবেশ করাতে গিয়ে অনেক সময় নেন। আবার পুরোনো নোট বারবার প্রবেশ করানোর কারণেও মেশিনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে থেমে যায়। মেশিন ঠিক থাকে কিন্তু ভেতরে টিকিট থাকে না তার জন্যও সমস্যা হয়। 

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন কারণে মেশিনের সমস্যা দেখা দেয়। তবে আমাদের জানতে হবে মূলত কোন কারণে এমনটা হচ্ছে। আমাদের টিম এগুলো সমাধানে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিনিয়ত যারা চলাচল করেন তারা যদি এমআরটি পাস করে নেন তাহলে ভোগান্তি পোহাতে হবে না। অনেক সময় ভেতরে জমা রাখা ৫০০টি কার্ড (টিকিট) শেষ হয়ে যায়। তখন নতুন কার্ডের ট্রে বসালে আবার টিকিট কাটা যায়। অথবা মেশিনটি আসলেই সমস্যা দিচ্ছে, সফটওয়্যারে যেহেতু চলে বিষয়টি, সমাধান করা যাবে। আমরা সমাধানে কাজ করছি। আশা করি দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।
 

Link copied!