ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
গুরুত্ব পেতে পারে আঞ্চলিক নিরাপত্তা

দুই মার্কিন কর্মকর্তার ঢাকা সফর

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ৯, ২০২৫, ১২:৪০ এএম

দুই মার্কিন কর্মকর্তার ঢাকা সফর

আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানাতে এবং বাংলাদেশের অবস্থান জানার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুজন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ঢাকা সফর করবেন। দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার দুই ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গে ঢাকায় আরও যোগ দেবেন মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূৎ।

রোহিঙ্গা ও মিয়ানমার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের অবস্থান কী হবে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তায় এর প্রভাব নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে একাধিক সূত্র। সবকিছু ঠিক থাকলে দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া ব্যুরো ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল এন চুলিক আগামী ১৬ এপ্রিল এবং পূর্ব ও প্যাসিফিক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এন্ড্রু হেরাপ ১৭ এপ্রিল ডাকা আসবেন। ১৯ এপ্রিল তাদের ঢাকা ত্যাগ করার কথা আছে। একইসঙ্গে ভারতের সঙ্গে অস্বস্তিকর এবং চীনের সঙ্গে আপাতদৃষ্টিতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকতে পারে মার্কিন প্রতিনিধি দলের।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ বাংলাদেশি ফেরত, বাংলাদেশের সংস্কার ও নির্বাচনসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারে দলটি। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি, মার্কিন প্রতিষ্ঠান ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (ডিএফসি) থেকে অর্থায়ন সংগ্রহসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। মোটা দাগে আগামী চার বছর দুই দেশের সম্পর্ক কী হতে পারে- সেটি নির্ধারিত না হলেও এর কাঠামো কী হবে, তা খুঁজে বের করার একটি চেষ্ট থাকবে দুপক্ষেরই।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা ও মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের ফলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অবদান রেখেছে বাংলাদেশ। কিন্তু তাদের অন্য মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য বড় অঙ্কের অর্থ দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র এবং এটির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে কমছে।’ সম্প্রতি ৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের অর্থ ছাড়া করলেও ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের জন্য আরও মার্কিন অর্থ পাওয়া যাবে কিনা, সেটি নিয়ে অনিশ্চিত একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে জানিয়ে     

তিনি বলেন, ‘মার্কিন অর্থায়ন বন্ধ বা কমে আসলে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে, সেটি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে।’

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক : প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সম্প্রতি চীন সফরকে ঐতিহাসিক হিসেবে অভিহিত করছে সরকার। একইসঙ্গে আগামী ৫০ বছরের সম্পর্কের ভিত্তি এই সফরে হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে চীন নিয়ে আগ্রহী দেশগুলোর সেটি নজর এড়ায়নি। সফরের আগে ও পরে বিভিন্ন দেশের এই সফরের ফলাফল জানার বিষয়ে আগ্রহ ছিল ও আছে।এ বিষয়ে সরকারের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানতে চেয়েছে। তারা বুঝতে চেয়েছে যে, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা কী ধরনের এবং এর ব্যাপ্তি কী ধরনের। আমাদের পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হয়েছে, কী কারণে এই সফর হয়েছে, এর প্রয়োজনীয়তা কী এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কের গভীরতা কী হতে পারে।’ বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কারণ হচ্ছে- চীনবিরোধী নীতি অনুসরণ করে থাকে ওয়াশিংটন।

অবৈধ অভিবাসী ফেরত : ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নের উদ্যোগ নেন। ইতোমধ্যে ১০-১২ জন বাংলাদেশি আদালতের আদেশের কারণে ফেরত এসেছেন। এছাড়া যখনই চাওয়া হচ্ছে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে যেসব বাংলাদেশির পাসপোর্ট নেই, তাদের দেশে ফেরত আসার জন্য ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা দিচ্ছি। একজন অবৈধ অভিবাসীর জন্য ১০ জন বৈধ অভিবাসী যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় এবং এ কারণে আমাদের কাছে কোনো অনুরোধ আসলে আমরা সর্বতো সহায়তা দিচ্ছি।’

বাণিজ্য বৃদ্ধি : বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ মার্কিন শুল্ক আরোপের ফলে রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সামগ্রিকভাবে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে সরকারে। এ বিষয়টি নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের অবহিত করবে ঢাকার কর্মকর্তারা। জানতে চাইলে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে চাই। এরজন্য যে সহায়ক পরিবেশ প্রয়োজন, সেটি তৈরি করার জন্য আমরা প্রস্তুত। ইতোমধ্যে কিছু উদ্যোগ নেয়া হযেছে। বাকিগুলো দুপক্ষের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে নেয়া হবে।’

Link copied!