ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

হাসপাতালে মৌসুমি রোগে আক্রান্তদের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ২৭, ২০২৫, ১২:০৮ এএম

হাসপাতালে মৌসুমি রোগে আক্রান্তদের ভিড়

তীব্র গরমে মৌসুমি নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। আর ওসব রোগীরা হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা ওসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তীব্র গরমে শিশুরা শরীরে ফোসকা ওঠা, নানা ধরনের চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তার সঙ্গে ভাইরাসজনিত জ্বর-ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে। 

বর্তমানে মূলত জ্বর, ঘাম থেকে ঠান্ডাজনিত সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, চর্মসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। পাশাপাশি হাসপাতালে হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগীরাও হাসপাতালে ছুটলেও হাসপাতালে বর্তমানে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়ার রোগী বাড়ছে। চিকিৎসা খাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গ্রীষ্মের তীব্র গরমে রীতিমতো আগুনের তাপ ছড়াচ্ছে। তাপপ্রবাহে মানুষ ঘরে-বাইরে অতিষ্ঠ। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে সারা বিশ্বেই তাপমাত্রা বেড়েছে। তবে অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে কিছুটা বেশি। ফলে তাপপ্রবাহে বাড়ছে রোগ-বালাই। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। প্রকৃতির বৈরী আচরণে দুর্বল মানুষগুলোর শরীরে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারা নানা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ভোগে। বিশেষ করে প্রসূতি নারী, শিশু ও বয়স্করা এর শিকার।

সূত্র জানায়, সাধারণত প্রকৃতিতে তাপমাত্রার পরিবর্তনের সময়ে মানুষ সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, সিওপিডি, টনসিলাইটিস, ফ্যারিঞ্জাইটিস, সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত হন। পাশাপাশি দেশ জুড়ে হাসপাতালগুলোতে চাপ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর বাড়ে। কারণ গরমের সময় মানুষ পিপাসার্থ হয়ে সামনে যে পানিই পায় সেটাই পান করে। ফলে পানিবাহিত ও খাদ্যবাহিত রোগ ডায়রিয়া, ডিসেনট্রি, জন্ডিস, টাইফয়েড এবং যত্রতত্র পানি পান করার জন্য পানিতে থাকা ময়লার কারণে ফুড পয়জনিং হয়। 

সূত্র আরও জানায়, তীব্র গরম ঘাম দিয়ে শুরু হলেও ফুডপয়জন, পানিবাহিত রোগ, হিটস্ট্রোক এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৃত্যুর মতো ঘটনা দিয়ে শেষ হয়। আর শিশুদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া শিশুর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাছাড়া এ ধরনের বৈরী আবহাওয়াতে প্রসূতি নারী ও বয়স্করা সংবেদনশীল ব্যক্তি বেশি ভোগে। মূলত পরিবেশের তাপমাত্রার ওঠা নামার কারণে পরিবেশে বাসকরা কতগুলো ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে ওঠে। আর সেজন্যই ভাইরাসজনিত শিশুদের নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া এবং বড়দের ডায়রিয়া বেড়ে যায়। 

এদিকে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, তীব্র গরমে গর্ভবতী মায়েদের ঠান্ডা জায়গায় থাকা জরুরি। কোনোভাবেই বেশি ঘাম যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ কারণ ঘাম বসে গিয়েও ঠান্ডা লাগে এবং তা থেকে সর্দি-কাশি-জ্বর হচ্ছে। সেজন্য প্রসূতি মায়েরা দিনের তীব্র গরমে ঘরে থাকা, বেশি করে পানি পান করা, পারলে ডাবের পানি, ফলের জুস পান করা প্রয়োজন। কারণ প্রসূতি মায়েদের গরম বেশি অনুভূত হয়। ফলে তাদের ঘামও বেশি হয়। আর ওই ঘাম বসেই তাদের ঠান্ডা লাগতে পারে। 

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ- আইসিডিডিআর,বি ঢাকা হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল লিড ডা. শোয়েব বিন ইসলাম জানান, গরম শুরু হওয়ায় ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে। এই গরমে মানুষ পানি বেশি পান করে, সে ক্ষেত্রে পানিটা যেন বিশুদ্ধ হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। সম্ভব হলে নিজের বাসার বিশুদ্ধ পানি সব সময় সঙ্গে রাখতে হবে। বাচ্চারা স্কুলে গেলে যে পানি পান করবে, সেটা যেন বিশুদ্ধ হয়। কারণ অনেক স্কুলেই বিশুদ্ধ পানির সুবিধাটা থাকে না। স্কুলগুলোতেও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ রাখতে হবে। 

তাছাড়া যারা বাইরে বের হয়, তারা ঢিলেঢালা পোশাক পড়লেই ভালো। এই গরমে হিটস্টোক হয়। তীব্র গরমে হঠাৎ যদি কোনো ব্যক্তির খারাপ লাগে, মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে, কিংবা মাথাঘুরে পড়ে যায়, তখন তাকে দ্রুত খোলামেলা ঠান্ডা জায়গায় নিতে হবে এবং তাকে শুইয়ে দিয়ে, পা কিছুটা উঁচু করে দিতে হবে, এরপর অবস্থা বুঝে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী জানান, তীব্র গরমে মানুষ বাইরে যখন যায় তখন ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি এবং লবণ বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরে পানি শূন্যতা তৈরি হয় এবং লবণের ঘাটতি দেখা দেয়। তাতে পিপাসা বেশি পায়, মাথা ঘোড়ে, শরীর অবসন্ন লাগে, রক্তচাপ কমে যায় এবং তীব্র গরমে হিটস্ট্রোক সমস্যা হয়। মানুষ ওই সময় জ্ঞান হারাতে পারে।  ওই সময় রক্তের চাপ কমে যায়, নাড়ির গতি বেড়ে যায়, প্রথম দিকে অসংলগ্ন কথা বা আবল-তাবল কথা বলতে থাকে এবং একসময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সেটি হচ্ছে গরমের প্রাথমিক প্রভাব। 

তাছাড়া গরমের কারণে মানুষ অস্বস্থি বোধ করে, কর্মোদ্দীপনা কমে যায় বা কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং এক ধরনের অবসাদ তৈরি হয়। তার বাইরে হঠাৎ গরম থেকে ঘরে এসে ঠান্ডা এয়ারকন্ডিশন রুমে বা ঠান্ডা পানি খেলে শরীরের তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন হয়। ওই পরিবর্তনের কারণে শরীরের ভেতরে বাস করা সুবিধাবাদি যে রোগজীবাণুগুলো রয়েছে তা সক্রিয় হয়ে ওঠে, যে কারণে গলাব্যথা, ফ্যারিনঞ্জাইটিস, জ্বর কাশি হয়।

Link copied!