Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪,

শাহবাগে ‘লাল কার্ড’ সমাবেশে ছাত্রলীগ-পুলিশের বাধা

সোহাগ বিশ্বাস

সোহাগ বিশ্বাস

জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০২:৪০ পিএম


শাহবাগে ‘লাল কার্ড’ সমাবেশে ছাত্রলীগ-পুলিশের বাধা

রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে নতুন বছরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে ইতিহাস বিকৃতি ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বিষয়বস্তু প্রত্যাখ্যান চেয়ে ‘লাল কার্ড’ সমাবেশের ঘোষণা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, লাল কার্ড সমাবেশের আয়োজকরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিলে পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্তৃক বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় শাহবাগ চত্বরে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সমাবেশ শুরুর সময় শাহবাগে অবস্থানরত পুলিশ শিক্ষার্থীদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। শুরু থেকেই কর্মসূচিস্থলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মহড়া দেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, লাল কার্ড সমাবেশে আয়োজকদের তাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সমাবেশস্থলে কাউকে অবস্থান করতেও দেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের সরিয়ে সমাবেশস্থলে পুলিশ ও ছাত্রলীগকর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

জানতে চাইলে লাল কার্ড সমাবেশের অন্যতম আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী ও ইসলামি ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শাহবাগে লাল কার্ড কর্মসূচিতে অংশ নিলে পুলিশ ও ছাত্রলীগকর্মীরা আমাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি হয়। তবে কেউ গুরুতর আহত হয়নি। পুলিশ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের ব্যানার কেড়ে নেয়।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, যারা এ ঘটনা করেছে তারা ছাত্রলীগের পরিচয়ে আসেনি, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাহবাগে সাংস্কৃতিক আড্ডা দিচ্ছি।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আশ্রাফুজ্জামান বলেন, আমরা এখানে কাউকে আন্দোলন করতে দেখিনি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এখানে তাদের কর্মসূচি পালন করছে, আমরা এতটুকুই জানি।

পুলিশ আন্দোলনকারীদের ব্যানার কেড়ে নিয়েছে কি-না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন কিছুই হয়নি।  

কর্মসূচির সময় ছবি নিয়ে গেলে সাংবাদিকেরাও হেনস্থার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনি কয়েকজন সাংবাদিকদের মোবাইল ফোন কেরে নেওয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়। পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়ে মোবাইল ফিরিয়ে দেয়া হয়।

কেএস 
 

Link copied!