Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫,

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা আছে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ১৫, ২০২৫, ১২:১৭ এএম


শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা আছে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

বুধবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের পাশে পুলিশি ব্যারিকেডের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আলাপের একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ভিড় থেকে হঠাৎ একটি পানির বোতল উপদেষ্টার মাথায় ছুঁড়ে মারা হয়। কে বা কারা এটি ছুঁড়ে মেরেছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনি তখনই কথা শেষ না করে স্থান ত্যাগ করেন।

বক্তব্যের শুরুতে মাহফুজ আলম বলেন, “আপনারা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। এ বিষয়ে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।”

এরপর দুপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের প্রসঙ্গ তুলতেই উপস্থিত শিক্ষার্থীরা “ভুয়া, ভুয়া” বলে স্লোগান দিতে থাকেন। ঠিক সেই সময় উপদেষ্টার মাথায় একটি বস্তু পড়ে, এবং তিনি বলেন, “আমি আর কথা বলব না।” পরে তিনি পুলিশি নিরাপত্তায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’তে ফিরে যান।

মিডিয়াকে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টার বক্তব্য

পরে যমুনার সামনের গণমাধ্যমের সঙ্গে ব্রিফিংকালে মাহফুজ আলম বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকটসহ তিনটি দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। এই দাবিগুলোর যৌক্তিকতা শিক্ষা মন্ত্রণালয় যাচাই করে দেখবে। বিশেষ করে আবাসন ভাতা ৭০ শতাংশে উন্নীতকরণ, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত শুরু, এবং বরাদ্দ কমানো না—এই দাবিগুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আশা করি শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট পক্ষদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।”

তবে আন্দোলনের ধরন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমি দুঃখ প্রকাশ করছি, যারা প্রকৃত শিক্ষার্থী, তারা তো আমার ওপর হামলা করেনি। কিন্তু কিছু ব্যক্তি নাশকতা করার উদ্দেশ্যে এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তাদের চিহ্নিত করে শিক্ষার্থীদের আলাদা করা উচিত।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “যখন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন, প্রথমে আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করুন। শক্তি প্রয়োগ যেন শেষ উপায় হয়।”

শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়েও তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছেন। তাদের নৈতিক কর্তৃত্ব আর শিক্ষার্থীদের ওপর নেই—এটা খুব দুঃখজনক। আমি তাদের মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু তারা তা করতে পারেননি।”

ইএইচ

Link copied!