Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

বন্যা: মলমূত্র ত্যাগের পানি পান ও রান্নাবান্না 

মো. মাসুম বিল্লাহ

জুন ২০, ২০২২, ০২:২২ পিএম


বন্যা: মলমূত্র ত্যাগের পানি পান ও রান্নাবান্না 
ছবি-সংগৃহীত

সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা সহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি এখনো অব্যাহত আছে। সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি সোমবারও প্রায় অপরিবর্তিত আছে। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষের অনেকেই দিন কাটাচ্ছেন অর্ধাহার বা অনাহারে।  

বানভাসি মানুষ জানিয়েছে, কোনোমতে মাথাগোঁজার ঠাঁই পেলেও তারা খাদ্য সংকটে ভুগছেন। আশ্রয় সেন্টারগুলোয় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আছে শৌচাগারের সংকটও। ফলে অনেকেই বন্যার পানিতে মলমূত্র ত্যাগ করছে আবার সেই পানি পান ও রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করছেন। এতে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। 

বানভাসিরা বলেন, তারা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে আছেন। দ্রুত এসব তাদের কাছে না পৌঁছালে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। সরেজমিন সদরের বাদাঘাট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অবস্থিত শেল্টার সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, এখানে আশপাশ এলাকা থেকে আসা প্রায় সাড়ে তিনশ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। 

তারা জানান, তাদের এখানে খাবারের তেমন সংকট নেই। তবে বিশুদ্ধ পানি ও শৌচাগারের সংকট রয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই তারা বন্যার পানি করছেন। 

তাদেরই একজন সদরের লামারগাঁও এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ পান্না বেগম আমার সংবাদকে জানান, বন্যায় তাদের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। আশ্রয় নিতে ২০ দিনের শিশুপুত্র সাকিবকে নিয়ে এখানে এসেছেন। পাঁচদিন ধরে তিনি এখানে আছেন। খাবারের তেমন সংকট না থাকলেও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট এখানে। ঘরবাড়ি হারিয়ে  সপরিবারে এখানে এসেছেন নলকট এলাকার যুবক লুৎফর রহমান। 

তিনি জানান, তিনদিন ধরে এখানে আছি, এখনো পর্যন্ত কেউ বিশুদ্ধ পানি দেয়নি। বাধ্য হয়ে বন্যার পানি পান করছি।


আমারসংবাদ/এআই 

Link copied!