Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪,

লালমনিরহাটে নদীগর্ভে বিলীন ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি, বাড়ছে দুর্ভোগ

ইউএনবি

ইউএনবি

জুন ২১, ২০২২, ০১:৩৮ পিএম


লালমনিরহাটে নদীগর্ভে বিলীন ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি, বাড়ছে দুর্ভোগ
ফাইল ছবি

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে লালমিনরহাটে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি। ডুবে গেছে নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ফসল। পাঠদান বন্ধ হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।  গত তিনদিন ধরে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। 

মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল ৯টায় হাতীবান্ধার দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ৫২.৬০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদ দৌলা এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (২০ জুন) সন্ধা ৬টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি ৫২.৯০ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২.৬০) যা বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে বানভাসি মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সোমবার (২০ জুন) রাত ১০টায়  লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর লালমনিরহাট সদর এবং আদিতমারী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া,হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালমাটি, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর পানি প্রবেশ প্রায় ১৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ২ নং ও ৩ নং ওয়ার্ডের চর সিন্দুর্না এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। গত সাত দিনে প্রায় ৫০ জন পরিবার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। 

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, বন্যাকবলিত জেলার পাঁচ উপজেলায় ১৫০ মেট্রিক টন চাল, ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা, শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্য বরাদ্দ হয়েছে। এগুলোর বিতরণ কার্যক্রম শেষের দিকে। বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আমারসংবাদ/এআই  

Link copied!