Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪,

গুরুদাসপুরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মানববন্ধন

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

জুলাই ১৭, ২০২২, ০৭:২৫ পিএম


গুরুদাসপুরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মানববন্ধন

নাটোরের গুরুদাসপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান সুপ্রকাশ পালের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুইটি হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

রোববার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুরুদাসপুর থানা চত্তরে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’এর ব্যানারে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচিতে দাবি করা হয় সুপ্রকাশ পাল সিধুলাই স্বর্নিভর সংস্থা একটি বে-সরকারি সংস্থায় ২০ বছরেরও বেশি সময় চাকরি করতেন। গত ২৭ মার্চ বিধিমোতাবেক চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন তিনি। সংস্থার কাছে থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা প্রাপ্যহন সুপ্রকাশ পাল। বকেয়া ওই টাকা পরিশোধের জন্য সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকের কাছে আবেদন নিবেদন করেও ব্যর্থ হন তিনি। 

উপরন্ত তাঁর শিক্ষাগতযোগ্যতার সকল সনদপত্র আটকে রাখা হয়েছে। প্রতিকার পেতে  বকেয়া টাকা ও শিক্ষা সনদপত্রগুলো ফেরত পেতে জেলা প্রশাসক-পুলিশ সুপার সহ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে লিখিত আবেদন করেন সুপ্রকাশ পাল। 

ভুক্তভোগী সুপ্রকাশ পাল অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার কারনে  তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক  আবুল হাসনাত মোহাম্মদ রেজোয়ান। এরই জের ধরে গত ২৯  মে সুপ্রকাশ পালের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়।

একটি মামলার বাদী সংস্থাটির সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ীমোহনপুর শাখার সহকারি শাখা ব্যবস্থাপক  মো. আশরাফুল ইসলাম।বাদীর অভিযোগ তাঁকে পদোন্নতি দিতে ২ লাখ টাকা উৎকোচ নিয়েছিলেন সুপ্রকাশ পাল। মামলার আরেক বাদী একই শাখার লাইব্রেরী সহকারি আরিফুল ইসলাম। 

তাঁর অভিযোগ তাঁর স্ত্রীকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেয়ার নামে সাড়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন সুপ্রকাশ পাল। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত ৬ জুলাই গুরুদাসপুর উপজেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসচী পালন করেছিলেন এ মামলার বাদীরা।

এ ব্যাপারে সংস্থাটির পক্ষ থেকে কোন মামলা হয়েছে কী না জানতে চাইলে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সংস্থাটির সহকারি প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজমুল হুদা কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

দায়ের করা মামলাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবি করে সুপ্রকাশ পাল দাবি করেন তাঁর বকেয়া বেতন-ভাতার টাকা এবং শিক্ষা সনদগুলো ফেরত না দিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকের ইন্ধনে পরোক্ষভাবে পৃথক দুইটি মামলা তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, তাঁর বাবা ছিলেন একজন আদর্শ স্কুল শিক্ষক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা। অন্য ভাইয়েরা উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। অনৈতিক কোন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নন তিনি।

সুপ্রকাশ পালের পক্ষে রোববারের মানববন্ধন কর্মসুচীতে বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো. সোহেলরানা  মো. আকরাম হোসেন জাহিদুল ইসলাম জয়নাল আবেদীন ও সন্তোষ সরকার প্রমূখ। তাঁরা হয়রানিমূল এ মামলা প্রত্যাহারসহ সুপ্রকাশ পালের বকেয়া বেতনভাতা পরিশোধসহ সকল শিক্ষা সনদপত্র ফিরিয়ে দেয়ার আবেদন জানান কর্মসূচি থেকে। 

Link copied!