Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪,

রেলের উপরে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে দায় কেনো রেল কর্তৃপক্ষের: রেলমন্ত্রী

শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি

শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি

আগস্ট ২, ২০২২, ০৮:৪১ পিএম


রেলের উপরে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে দায় কেনো রেল কর্তৃপক্ষের: রেলমন্ত্রী

কেউ যখন রেলের সাথে ধাক্কা খায়। তখন হতাহতের ঘটনা ঘটলে তার সব দায় রেলের উপরে। কেন রেল এই দায় নিতে যাবে। রেল চলাচলের সময় ঐ রেললাইনের আশেপাশে তো ১৪৪ ধারা জারি করা থাকে রেল আইন অনুসারে। তাহলে রেলের উপরে এসে দুর্ঘটনা কিভাবে ঘটে, রেল তো সোজা চলে এর সাথে কারো তো ধাক্কা লাগার কথা নয়। তাহলে কেন বারবার রেলের উপরে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে দায় রেল  কর্তৃপক্ষের। মাগুরা রেললাইনের ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠানে রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, রেল নিয়ে সম্প্রতিক  সময়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এটা নিরোসনে আমরা কাজ করছি। রেলের উপরে কেউ মোবাইলে কথা বলতে বলতে দুর্ঘটনা কবলিত হলে সে দায় কেন রেলের? কোন যান এসে পড়লে তার দায়ভারও কেন রেলের হবে? এই বিষয়গুলো আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন পৌরসভা, সড়ক বিভাগসহ রেলে লাইনের অঞ্চলগুলোর পাশে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কথা বলে সমন্বয় করে নিতে পারি। এতে আমাদের সকলের জন্য ভাল হবে বলে তিনি জানান।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে জেলা শহরের কামারবাড়ি এলাকায় মাগুরা রেল লাইনের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন রেল মন্ত্রী। রেলের স্টেশন সদরের কামারবাড়ী কছুন্দি ইউনিয়ন হওয়ার কারণে এখানে একটি সমাবেশের করে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মাগুরা ১ এর এ্যাড সাইফুজ্জামান শিখর রেল মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কয়েক বছর হতে চললো। মাগুরার মানুষ রেল লাইনে উঠতে চায় মাননীয় মন্ত্রী। আশা করি জমি অধিগ্রহন দ্রুত শেষে করে রেল লাইনের কাজ পুরোপুরি শুরু হবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মাগুরা রেললাইনের কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর ফাত্তাহ ও সাধারন সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু।

এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতারা ছাড়া সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, ইউপি চেয়ারম্যান প্রমূখ।

প্রসঙ্গত মাগুরা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পে, ১ হাজার ২০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ২৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ কাজ চলমান। ২০২১ সালের মে মাষে এটা প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধন করেন। ২০২৩ সালে এই প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া মাগুরা ও কামারখালীতে দুটি নতুন স্টেশন ও দুটি প্লাটফর্ম, দুটি সেড নির্মাণ, একটি আন্ডারপাস, গড়াই ও চন্দনায় দুটি মেজর রেল সেতু, ২৮ মাইনর ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এর পাশাপাশি সিগন্যালিং ও ইলেকট্রিক্যাল কাজ করা হবে। এ কাজের জন্য ১৩০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ তিন বছর হলো শেষ হয়নি বলে স্থানীয়রা নানা সময়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে।    

কেএস 

Link copied!