Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

বড়লেখা ও জুড়িতে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

আগস্ট ৪, ২০২২, ০৫:২৩ পিএম


বড়লেখা ও জুড়িতে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ি  উপজেলায় এবারের ভয়াবহ বন্যায় ৪ হাজারের অধিক কাচা ঘরের  ব্যাপক খয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব ঘরের লোকজন চরম দূর্ভোগ নিয়ে অন্যের বাড়িতে কেউ কেউ দিন কাটাচ্ছন। এসব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জনসাধারণ সরকারি আর্তিক অনুদানের জন্য এ এলাকার সাংসদ ও সরকারের পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট দাবি জানাচ্ছেন।

জনপ্রতিনিধি ও এলাকা বাসী সূত্রে জানা যায়, বড়লেখা ও জুড়ি উপজেলার এবারের ভয়াবহ বন্যায় দু উপজেলার হাওর পারের গ্রাম গুলোর কাচা ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দীর্ঘ  দিন পানি থাকায় অধিক পানি হওয়ায়  অনেকের ঘরের নিচের মাটি সরে গিয়ে ঘর হেলে গেছে। অনেকের ঘর বেসে গেছে। অনেক ঘর বিধস্ত হয়। এস ভুক্তভোগী লোকজন অন্যের বাড়িতে আছেন তাদের নিজস্ব ঠিকানায় যেতে পারছেন।

সরেজমিনে, এলাকায় গেলে জানা যায় ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছে তাদের মধ্যে বর্নীর মনারাই গ্রামের হেলাল উদ্দিন, ফিরোজ আলী, জায়েদ মিয়া,মনাদি গ্রামের লাল উদ্দিন, আব্দুল আজিজ, আব্দুর রহমান, মালিকা, সুজানগর ইউনিয়নের জগড়ি গ্রামের সুভাষ চন্দ্র দাস,কৃপেশ চন্দ্র দাস, বিরেশ দাস, সুমন্ত, আলিম উদ্দিন। পরেশ চন্দ দাস,বিরেশ দাস শিতেশ দাস তিন ভাই ভূমিহীন এ পরিবারটি অন্যের ঘরে থাকেন তারা সরকারের নিকট দাবি করেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার একটি  ঘরের জন্য। প্রবাস চন্দ্র দাস নির্মল দাস, রসময় দাসখতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি খতি হয়েছে, রাখাল চন্দ্র দাসের তিনির  ঘরটির নিচের মাটি সরে গেছে ঘরটি ঘরের খাম্বা বেঙ্গে  বিধস্ত হয়। এবাবের বন্যায় জোতিশ দাস বিধান দাস, রকিব আলী, চরকোনা গ্রামের ইসলাম উদ্দিন, কয়েছ আহমদ, বিধবা লিলি বেগম দক্ষিণ ভাগ উওর ইউনিয়নের শেওরাডিগা গ্রামের, মৃত ছানু মিয়ার ঘরটি এবারের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম জানান, তিনির ইউনিয়নে  হাওর পারের গ্রাম গুলোর ৫ শতাদিক ঘর বিধস্ত হয়। এ ছাড়া ৭ ঘরের ব্যাপক খতি হয়।

তালিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তি যোদ্ধা এখলাছুর রহমান এখলাই বলেন, তিনির ইউনিয়নে ৭ শত ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

বর্নী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, তিনির ইউনিয়নে অর্ধ শত বিধস্ত হয়, আরও ৩ শতাধিক জুড়ি উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাছুম রেজা মুঠো ফোনে জানান তিনি ইউনিয়নের নয়াগ্রাম, ইউসুফ নগর, জাঙ্গীরাই, বেলাগাও দিগল ভাগ সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ৫ শতাধিক ঘর খতি হয়েছে। এছাড়া লেপ্টিন পানি তে বেশে গেছে।

উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন জানান, তিনির ইউনিয়নে ১৭৫ টি ঘর বিধস্ত হয়। আরও  ৩ শত ঘরের ব্যাপক আকারে খতি হয়েছে।

ভুক্তভোগী লোকজন জানান বন্যার সময় প্রবাসীরা আমাদের বেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। আমরা আশা রাখি ঘর নির্মানে ও সহযোগিতা করবেন। ভুক্তভোগীর এ এলাকার সাংসদ ও পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের  নিকট ঘর নির্মাণ ও সংস্কারের জোরালো দাবি জানান।

কেএস 

Link copied!