ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

পেকুয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির মামলা

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

আগস্ট ৭, ২০২২, ১২:৩৯ পিএম

পেকুয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির মামলা

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও উজানটিয়া ইউপির দুই বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক লাখ টাকা ও বারো হাজার মূল্যমানের একটি মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে থানায় মামলা রুজু হয়েছে।

৩ আগষ্ট মুবিনুল হক বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে গত ২১ জুলাই উজানটিয়া ইউনিয়নের গুদারপাড় ষ্টেশনে বাদি মুবিনুল হককে মারধর করে। এ সময় তার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায় চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ আরো তিনজনকে আসামি করে।

এদিকে যুবলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চুরি মামলা রেকর্ড হওয়ায় সাধারন মানুষের মাঝে হাস্যরস দেখা দিয়েছে। ক্ষোভ দেখা দেয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মাঝে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মামলার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে সর্ব মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে।

পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহদুর বলেন, চুরির মামলাটি হাস্যকর। মামলায় ছাত্রলীগের দু‍‍`জন নেতাকে আসামি করা হয়েছে। যতটুকু জেনেছি তারা দু‍‍`জনই চট্টগ্রাম শহরে ছিল। তারা সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে। এটা গভীর ষড়যন্ত্র। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কখনো এ ধরনের কাজে জড়িত থাকতে পারে না।

পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শহিদ একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। দু‍‍`বার নৌকা প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। এবারও নৌকা প্রতিক নিয়ে ভোট করছে। এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ওনি এ ধরনের কাজে জড়িত থাকবে এটা বিশ্বাস করা যায় না। এছাড়া শহিদ একজন ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান।

মামলার আসামি ও উজানটিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত। বর্তমান চেয়ারম্যান ও কিছু দলের ক্ষতিকারক নেতার ইন্ধনে আমাকে আসামি করেছে। এটা রাজনীতির খেলা।

স্থানীয়রা জানায়, শহিদুল ইসলাম চৌধুরী টানা ১৮ বছর জনপ্রতিনিধি ছিলেন। ২০০৩ সালে কারাগারে থাকা অবস্থায় ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দু‍‍`বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন জনপ্রিয় ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ।  উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, যুবলীগের সাবেক সভাপতি, পুর্ব উজানটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এছাড়া চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন পেকুয়ার সাধারন সম্পাদক পদে দীর্ঘ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। মোবাইল ও টাকা চুরির মামলা এটা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।

কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর বলেন,শহিদ যুবলীগ নেতা। সাবেক পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। দু‍‍`বারের চেয়ারম্যান। মোবাইল চুরির মতো মামলা এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এ মামলার পেছনে আরো গভীর চক্রান্ত থাকতে পারে।

পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.তাজ উদ্দিন বলেন, আসলে মামলায় শুধু চুরির ধারা আসেনি। ঘটনাটি মারধরের। একটা ঘটনা হলে বিভিন্ন ধারায় হয় এটা আমিও জানি আপনিও জানেন। তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না পেলে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

কেএস 

Link copied!