Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪,

ছাত্রলীগ নেতা রকি হত্যা মামলার আরেক আসামি গ্রেপ্তার

মাসুম বিল্লাহ, গাইবান্ধা

মাসুম বিল্লাহ, গাইবান্ধা

আগস্ট ২৫, ২০২২, ০৩:৫৩ পিএম


ছাত্রলীগ নেতা রকি হত্যা মামলার আরেক আসামি গ্রেপ্তার

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আশিকুর রহমান রকি হত্যা মামলার আরো এক আসামি শরিফুল ইসলাম শানুকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমার সংবাদকে নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান।

এরআগে বুধবার রাতে আসামি শরিফুলকে শহরের পূ্র্বপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শরিফুল ইসলাম শানু ওই এলাকার মৃত আজগর আলীর ছেলে। শরিফুল রকি হত্যা মামলার তদন্তপ্রাপ্ত আসামী। শানু পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত শরিফুল ও এজাহার নামীয় চারজন আসামিসহ ১১ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

২০২১ সালের (১১ জুলাই) রোববার রাত ১০ টার দিকে আশিকুর রহমান রকি ও তার দুই সহযোগী গাইবান্ধা শহর থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে গাইবান্ধা-বালাসী সড়কের পুর্বপাড়া হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে রকি ও তার দুই সহযোগীর পথরোধ করে মারপিটের এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন রকি। পরে স্থানীয়রা তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রকিকে মৃত ঘোষণা করেন এবং রকির দুই সহযোগী সোহেল মিয়া ও প্লাবনকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি নেন।

এ ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে, হত্যকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে শহরের পূর্বপাড়া এলাকার কাঞ্চনকে প্রধান আসামিসহ একই এলাকার নবাব আলীর ছেলে সোহাগ (৪০) ও মানিক (৪৫) ইলিয়াস আলী ওরফে বাঙ্গালির ছেলে ইমরান (৩৪) উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রকির বড় ভাই আতিকুর রহমান।  

মামলা পর একই বছরের (৪ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনার নামীয় প্রধান আসামি পূর্বপাড়া এলাকার ইলিয়াস আলী ওরফে বাঙ্গালির ছেলে ইমরানকে (৩৪) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার  এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সাথে সরাসরি যুক্ত থাকায় গাইবান্ধার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান হাসু মিয়ার ছেলে রবিন (২৮) কে গ্রেপ্তারের কথা জানায় গাইবান্ধার পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।

এছাড়া একই বছরের (১৭ অক্টোবর) এই হত্যা মামলার এজাহার নামীয় দুই সহোদর শহরের পূর্বপাড়া এলাকার নওয়াব আলীর ছেলে এক নম্বর আসামি কাঞ্চন ও তার আপন ভাই তিন নম্বর আসামি সোহাগকে শহরের ব্রিজ রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

২০২১ সালের ৪ অক্টোবরের ওই সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের থেকে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য-উপাত্ত, হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অনেক নাম পাওয়া গেছে। যা তদন্ত ও অন্যন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তবে, হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে স্থানীয় আধিপত্য ও পূর্ব শত্রুতা দুটি কারণ উল্লেখ করলেও তদন্তের স্বার্থে অন্য কারণগুলো এখনো প্রকাশ করেনি পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ১১ আসামির মধ্যে তিন আসামি কাঞ্চন, এমরান ও সোহাগ কারাগারে থাকলেও বাকি সাত আসামি বর্তমানে জামিন নিয়ে বাহিরে রয়েছেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমার সংবাদকে জানান, গ্রেপ্তার শরিফুল ইসলাম শানু তদন্তপ্রাপ্ত আসামি। রকি হত্যার ঘটনায় সে জড়িত। গোপন খবরে বুধবার রাতে তার বাড়ি থেকে শানুকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১৩ এবং তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এসময় এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং দ্রুতই আদালতে চার্জশীট (অভিযোগপত্র) দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

খুন হওয়া রকির বাড়ি জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মধ্য কঞ্চিপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত সাইদার রহমান ছেলে। ২০১৫ সাল থেকে রকি ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

কেএস 

Link copied!