ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

রাজারহাটে ১৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি বেদখল

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২, ০৯:০৮ পিএম

রাজারহাটে ১৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি বেদখল

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বিদ্যালয়ের নামে থাকা জমিতেই অসহায় এখন বিদ্যালয়। রাজারহাট উপজেলায় ১২৪ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টি বিদ্যালয়ের নামে থাকা জমি রয়েছে বেদখল। বেদখলকৃত জমি রয়েছে বর্তমানে ভূমি দস্যুদের দখলে রয়েছে।  

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাগজে কলমে বিদ্যালয় জন্মলগ্ন থেকে দাগে দাগে জমির খাজনা প্রদানের প্রমাণাদি থাকলেও জমি রয়েছে বেদখল। পাশাপাশি খাজনা দেওয়া সত্ত্বেও বিদ্যালয়ের জমি রেকর্ড হয়েছে কিছু কিছু ব্যক্তির নামে। বিদ্যালয়ের জমি বেদখল থাকায় খেলাধুলার মাঠ হয়েছে সংকুচিত। পাশাপাশি বেদখল কিংবা অবৈধ ক্রয় বিক্রয়ের কারণে বিদ্যালয় ভবনের আশপাশে দোকানপাঠ, ঘরবাড়ি ক্লাবসহ বিভিন্ন নামে-বেনামে অবৈধ স্থাপনা তৈরীর কারণে পাঠদানে ব্যাঘাত সৃষ্টির অভিযোগ শিক্ষকগণের। এতে করে নষ্ট হয়েছে শিক্ষার মনোরম পরিবেশ।  

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘড়িয়াল ডাঙ্গা সপ্রাবির ১৯৪শতাংশ,ডাংরার হাট সপ্রাবির ৬১ শতাংশ, সাকোয়া সপ্রাবির ৫১ শতাংশ, পুটিকাটা সপ্রাবির ৪৫ শতাংশ, ফুলখাঁ সপ্রাবির ৪৩ শতাংশ, নওদাবস সপ্রাবির ৪০ শতাংশ, হরিশ্বরতালুক সপ্রাবির ৩৩ শতাংশ, রাম হরি সপ্রাবির ৩০ শতাংশ, জয়দেব মালসাবাড়ী ৩০ শতাংশ, নাজিম খান বালিকা সপ্রাবির ৩০ শতাংশ, সুখদেব সপ্রাবির ২৮ শতাংশ, গাবুর হেলান সপ্রাবির ২০ শতাংশ, জোড়সয়ারহাট সপ্রাবির ১৯ শতাংশ, মনঃশ্বর সপ্রাবির ১২ শতাংশ, বৈদ্যেরবাজার সপ্রাবির ১০ শতাংশ, বোতলারপাড় সপ্রাবির ৮ শতাংশ, তালতলা সপ্রাবির ৬ শতাংশ, খিতাব খাঁ সপ্রাবির ৫ শতাংশ, পুর্বদেবোত্তর ৪ শতাংশ জমি বেদখল আছে।  

ডাংরার হাট সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরে খোদা আকুল বলেন, আমার বিদ্যালয় দুই সিপ্টের ৬ কক্ষ প্রয়োজন আছে মাত্র ৩টি। জায়গার অভাবে বাচ্চা এসেমবিলি করাতে পারিনা। বেদখল জমিতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় শিক্ষার মনোরম পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। আমি বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারের জন্য কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। আমি চাই বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধার করা হউক।

ফুলখাঁ সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক শরীফা খাতুন বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের নামে থাকা বেদখল জমি উদ্ধার এখন সময়ের দাবি। এর আগে প্রধান শিক্ষক জমি উদ্ধারের জন্য অভিযোগ দিয়েছিলেন। এখন আমাদেরকে রেকর্ড কাটার মামলা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্যার। পুটিকাটা সপ্রাবির জমি ৪৫ শতাংশ জমি বেদখল থাকলেও অভিযোগ করেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান। কেন অভিযোগ করেননি জানতে চাইলে প্রতিবেদককে সাক্ষাৎ করতে বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

রাজারহাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আমরা বিদ্যালয়ের নামে থাকা জমি উদ্ধারের চেষ্টা করছি। অলরেডি ২টি বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারের জন্য ল্যান্ড সার্ভেয়ারে মামলা দিয়েছি। আমি শিক্ষকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি। রেকড কারেকশনের মামলা দিতে হয়, অনেক আগে রেকড প্রকাশিত হয়েছে একবছরে মধ্যে হলে রেকড সার্ভেয়ার যাওয়া যায়। এখন নতুন নিয়ম করেছে আগে রাজারহাটে মামলা দিতে হবে তারপর ল্যান্ড সার্ভেয়ারে যেতে হয়। বিদ্যালয়ের নামে থাকা জমি উদ্ধারে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ইনশা আল্লাহ।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরে তাসনীম আমার সংবাদকে বলেন, যে সকল বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারের অভিযোগ পেয়েছি আমরা সেই সকল বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

কেএস 

Link copied!