Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪,

খাগড়াছড়ি আদালতে দায়েরকৃত মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বাদীর কারাদণ্ড

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি

অক্টোবর ৩১, ২০২২, ০৭:২৪ পিএম


খাগড়াছড়ি আদালতে দায়েরকৃত মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বাদীর কারাদণ্ড

খাগড়াছড়ি  সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারাধীন সি.আর মামলা নম্বর-১২১/২০২০ এর দায়েরকৃত মামলাটি আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ১৪৩/৪২৭/৩২৩/৫০৬ ধারার অভিযোগের দায় থেকে সকল আসামিকে বেকসুর খালাস ও মামলার বাদী কহিনুর বেগম (৫০) কে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকালের দিকে খাগড়াছড়ির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট  নাজমুল হোসেন চৌধুরীর আদালত এ সাজা প্রদান করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের দিকে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের  বেতছড়ি এলাকার বাসিন্দা কহিনুর বেগম মো. রেজাউল মাষ্টারসহ ৭ জনকে আসামি করে খাগড়াছড়ির বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

একাধিক তদন্ত ও দীর্ঘ শুনানী শেষে সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসেন চৌধুরী তার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট ২য় আদালতে বিচারাধীন মামলাটির প্রকাশ্য আদালতে রায় প্রদান করেন।

মামলার বাদি কহিনুর বেগম (৫০), বেতছড়ি, মেরুং ইউপির দীঘিনালা উপজেলার সামছুল হক, এর স্ত্রী মামলার আসামিরা হলেন- ১. মোঃ রেজাউল মাষ্টার (৪৫), আনারুল ইসলাম (৩০) নুর মোহাম্মদ (৪০), মোঃ হরমুজ আলী (৪৫) মোঃ আলম (৩৫), আমিন আলী (২২), ইব্রাহীম, সর্ব সাং- বেতছড়ি, মেরুং ইউপি দীঘিনালা উপজেলা- বাসিন্দা।

দায়েরকৃত মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ১৪৩/৪২৭/৩২৩/৫০৬ ধারার অভিযোগের দায় থেকে সকল আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। একই সাথে মামলার বাদী কহিনুর বেগমকে প্রত্যেক আসামীকে এক হাজার টাকা করে সাত হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ এবং ফৌজদারি কার্যবিধি ২৫০(৫) ধারার বিধান মতে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

ক্ষতিপূরণের অর্থ অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে মামলার বাদি কহিনুর বেগমের প্রতি সাজা পরোয়ানা ইস্যুর আদেশ দেন।

রায় ঘোষণাকালে বাদি কহিনুর বেগম এবং সাত জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাদীপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট কামাল উদ্দিন মজুমদার এবং আসামিপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট শেখ মো. জামাল হোসেন সিদ্দিকী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এমন রায় খাগড়াছড়িতে প্রথম উল্লেখ করে আসামিপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট শেখ মো. জামাল হোসেন সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে কেউ কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করার সাহস করবেনা বলে জানান তিনি।

কেএস

Link copied!