ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

শিক্ষার্থীদের পিঠার সাথে পরিচিত করাতে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসব

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

জানুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০৩:৪৭ পিএম

শিক্ষার্থীদের পিঠার সাথে পরিচিত করাতে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসব

কচিকাঁচা শিক্ষার্থী। হাতেখড়ি শিখতে সবে মাত্র পা দিয়েছে স্কুলের বারান্দায়। এই শিশু শিক্ষার্থীদেরকে পিঠার সাথে পরিচিত করাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমী পিঠা উৎসব।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে স্কুলের বারান্দায় এই আয়োজন করে আইডিয়াল স্কুল এন্ড ক্যাডেট একাডেমি। স্কুলটি পৌর এলাকার আজাদমোড়ে অবস্থিত। উৎসবে স্কুল কতৃপক্ষ নানা রকমের প্রায় ২০ ধরণের পিঠাপুলি তৈরি করে।

এসবের মধ্যে ছিল ধান সেমাই, ভাপাপুলি, দুধপুলি, আওলা কেশরি, পুলি, ঝিনুক, পাঠিসাপটা, জামাই সোহাগী এবং গোলাপ।

আরো ছিল চিতই, কানমুচরি, পায়েশ, পুডিং, তেল পিঠা, দুধ চিতই, ফুল পিঠা, ঘিড়, মুঠা পিঠা, রস গোলাপ এবং কেক।

বাঙ্গালী জাতিসত্তার সাথে অতপ্রত ভাবে জড়িয়ে আছে পিঠাপুলি। আধুকায়ন সহ নানা কারণে বর্তমান প্রজন্ম অনেক পিঠাপুলির সাথেই আজ অপরিচিত। এমন অনেক পিঠাপুলি আছে যা আমাদের সমাজ থেকে একেবারে হারিয়ে গেছে। তবে বাপ-দাদার আমলে সেসব পিঠার বেশ কদর ও পরিচিতি ছিল।

স্কুলে পিঠার এই বিশার সম্ভারে জানা অজানা পিঠার সাথে পরিচিত হতে পেরে খুশি শিশু শিক্ষার্থীরা। পরিচিত হবার পাশাপাশি তাদেরকে পিঠার স্বাদ গ্রহণ করায় স্কুল কতৃপক্ষ।

স্কুলটির তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাবাচ্ছুম আক্তার বলেন, এসব পিঠার মধ্যে থেকে বেশ কিছু পিঠা আমি আগে খেয়েছি। বাকি অনেক পিঠা আজ প্রথম দেখলাম। আমার অনেক ভালো লাগছে।

পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আবু তালহা বলেন, প্রথম বার আমি এতগুলো পিঠা দেখলাম। পিঠা গুলো খেতেও অনেক মজা। আমার মা আজ আমার সাথে স্কুলে এসেছে।

এদিকে স্কুল কতৃপক্ষের এমন চমৎকার আয়োজনে খুশি অভিভাবকরা। তারা বলছে পিঠার সাথে সন্তানদেরকে পরিচিত করাতে এমন আয়োজন তারা এর আগে কখনও দেখিনি।

পিঠা উৎসবে নিজের শিশু সন্তানকে নিয়ে বসে ছিলেন তানিয়া বেগম নামে এক অভিভাবক। তিনি বলেন, আমার ছেলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। অনেক রকমের পিঠা স্কুল কতৃপক্ষ তৈরি করেছে। সন্তানদের পাশাপাশি আমরাও পিঠা গুলোর সাথে পরিচিত হতে পারলাম।

আরেক অভিভাবক কেয়া রানী। তিনি বলেন, আমার  ছেলে আজ অনেক গুলো পিঠা খেয়েছে। সে ১৩টি পিঠার নাম মুখস্ত করে ফেলেছে। আমরা চাই আগামীতেও এমন ব্যক্তিক্রমী আয়োজন করা হোক।

আইডিয়াল স্কুল এন্ড ক্যাডেট একাডেমির পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, বইয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা বেশি পিঠার নাম মনে রাখতে পারে না। তাই আমরা বাস্তবে তাদেরকে পিঠার সাথে পরিচিত করালাম। এতে করে তারা বাঙ্গালীর ঐতিহ্য সমৃদ্ধ নানা রকম পিঠার স্বাদ গ্রহণ করতে পারলো।

তিনি আরও বলেন, এছাড়াও শীতকালে তাদেরকে নিয়ে উৎসব হয়ে গেল। শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাকরা কিছুটা আনন্দ বিনোদন উপভোগ করলো।

কেএস 

Link copied!