Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪,

নোয়াখালীতে সিএনজি চালককে জবাই করে হত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩, ০৬:১০ পিএম


নোয়াখালীতে সিএনজি চালককে জবাই করে হত্যা

নোয়াখালীর সদর উপজেলার  সফিগঞ্জ থেকে পুলিশ হাকিম আলী ওরফে আব্দুল হাকিম নামে এক সিএনজি চালকের গলাকাটা বস্তাবন্ধি লাশ উদ্ধার করেছে। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ এ হত্যার কোনো কারণ জানাতে না পারলেও নিহতের শশুর নুর নবী হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহ কয়েকজনের নাম জানান।

নিহত  হাকিম আলী (৩০) উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের মো.ইব্রাহীম ওরফে রাজা মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একজন সিএনজি চালক ছিল।  

নিহতের মামা ও শশুর নুরনবী সর্দার ওরফে বকুল মাঝি আমার সংবাদ কে জানান, আমার চাচাত ভাই হোরন মেম্বার হত্যার কান্ডের সাথে জড়িতরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।  

জড়িতরা হলো- একই এলাকার গোফরান চৌকিদারের ছেলে ইউচুপ, নজিবল হকের ছেলে আমিন, নিহত হারুন মোল্লার ভাতিজা আজাদ ও আমিনের ছেলে রমিজ। এরা সকলে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানান তিনি।

এদিকে এলাকাবাসী জানান, বিএনপি নেতা হারুন মোল্লার আলোচিত হত্যাকাণ্ডের ১৩নং আসামি ছিলেন হাকিম আলী। এছাড়াও আরো কয়েকটি মামলার আসামিও ছিলেন সে। ইতিমধ্যে  দীর্ঘদিন জেলও খেটেছে নিহত হাকিম আলী ওরফে আব্দুল হাকিম। এলাকাবাসীর ধারণা হারুন মোল্লার লোকজনই এ  হত্যার সাথে জড়িত থাকতে পারে।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ১৯নং পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের সফিগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ পাশে একটি সয়াবিন ক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) হারুন অর রশীদ জানান, সকাল ৮টার স্থানীয় কয়েকজন দিনমজুর সয়াবিন ক্ষেতে কাজ করতে যায়। ওই সময় তারা সয়াবিন ক্ষেতের এক পাশে রক্ত দেখতে পেলে তাদের সন্দেহ হয়। রক্তের সূত্র ধরে তারা একটি মাটি চাপা দেওয়া গর্তের সন্ধান পায়। এরপর তারা ওই গর্ত খুঁড়ে মানুষের পা দেখতে পেলে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুর ১২ টার দিকে ওই সিএনজি চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে।  

নিহতের পরিবার জানায়, হাকিম আলী তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে জেলা শহরের মাইজদী বাজার ভাড়া বাসায় থাকতো এবং সিএনজি চালিয়ে জিবিকা নির্বাহ করতো।

গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে হাকিমের সাথে সর্বশেষ তাদের মুঠোফোনে কথা হয়। তার তাৎক্ষণিক বাসায়  ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। এরপর থেকে হঠাৎ তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বাপারে নিহতের পরিবার মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে আন্ডারচর ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাস বলেন, হাকিমকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া তার কানের নিচে কাটা ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেখান থেকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কেএস 

Link copied!