নওগাঁয় আধুনিক পৌরসভা বিনির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

‘হয় শহর বদলাও, না হয় মেয়র বদলাও’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আধুনিক নওগাঁ পৌরসভা বিনির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ‘সচেতন পৌরবাসী’র ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে পৌর নাগরিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন, রামিম দেওয়ান, ফিলিপ হোসেন, সুলতান মাহমুদ প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৬৩ সালে নওগাঁ পৌরসভা গঠিত হয়। যা প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা পায় ১৯৮৯ সালে। অথচ আড়াই লাখ নাগরিকের এই শহরের সড়ক, ড্রেন, বর্জ্য ব্যস্থাপনা সব কিছুরই বেহাল অবস্থা। অলিগলির সড়কগুলো খানাখন্দে ভরা। রাতে সড়কে ঠিকঠাক বাতিও জ্বলে না। এ যেন কেবলই ভোগান্তির এক শহর।

বক্তারা আরও বলেন, এত সমস্যার ভিড়ে প্রধান সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে অটোরিক্সা-সিএনজি। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে হাজার হাজার অটোরিক্সা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শহরে। এতে সকাল থেকে রাত অবধি যানজোটের সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষের পা ফেলার জায়গা পর্যন্ত থাকে না। শহরে নেই কোন গণ শৌচাগারের ব্যবস্থা। তাই প্রতিদিনই শহরে আসা হাজারো নারী-পুরুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বর্তমান বিএনপির মেয়র নজমুল হক সনি টানা তৃতীয়বারের মত দীর্ঘ ১৩ বছর ক্ষমতায়। কিন্তু শহরবাসীর ভোগান্তি লাঘবে দৃশ্যমান তেমন কিছুই করতে পারেননি তিনি। তার স্বজনপ্রীতি ও লুটপাটের কারণে আজ প্রথম শ্রেণির একটি পৌরসভা নওগাঁর সকল কিছুই যেন মুখ থুবড়ে পড়েছে।

বক্তারা বলেন, দিন দিন এই শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। অথচ বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি প্রান্তরকে আধুনিকায়ন করার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে আসছে। আর সেই বরাদ্দের অর্থগুলো সঠিকভাবে কাজে না লাগিয়ে কতিপয় ব্যক্তি নিজেদের আখের গোচ্ছাচ্ছেন যা অত্যন্ত দুঃখ্যজনক। আর সেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারন নাগরিকদের। তাই মানববন্ধন থেকে মেয়রের পদত্যাগ দাবী করেন আন্দোলনকারীরা। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই মানববন্ধনে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে এসব অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয় দাবী করে নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক সনি বলেন, ‘২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমবারের মত নওগাঁ পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করি। এরপর থেকে রাস্তা-ঘাট, ড্রেন তথা শহরের উন্নয়নে কোটি কোটি টাকার কাজ করেছি। এমনকি ইউজিপি-৩ মত বড় প্রকল্পও বাস্তবায়ন হয়েছে এই সময়ে। আমার সাধ্যমত পৌরবাসীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।’

আরএস