Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

কালীগঞ্জে টর্ণেডোর ঝড়ে ঘরবাড়িসহ ব্যবসা-বাণিজ্য লন্ডভন্ড

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

জুন ১৫, ২০২৩, ০৬:৩৭ পিএম


কালীগঞ্জে টর্ণেডোর ঝড়ে ঘরবাড়িসহ ব্যবসা-বাণিজ্য লন্ডভন্ড

লালমনিহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে লন্ডভন্ড হয়েছে অনেক কয়েকটি গ্রাম। ঝড়ের স্থায়িত্ব কম হলেও কোথাও কোথাও বাতাসের বেগে ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পাশাপাশি উড়ে গেছে স্থাপনা।

এতে প্রায় এক থেকে দেড় শত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। উপড়ে গেছে কয়েকশ গাছ। এছাড়া ঝোড়ো বাতাসে আম, লিচু, ভুট্টা, গম, ধানসহ উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এতে কিছু বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এই প্রবল বেগে ঝড়ের কারণে উপজেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। ‌এতে ব্যবসা বাণিজ্যসহ নিম্ন আয়ের অটোচালকরা পড়েছেন বিপাকে।

বৃহস্পতিবার ভোরে ঘুর্নিঝড় আঘাত হানে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার উপর দিয়ে এই ঝড় বয়ে যায়।

জানা গেছে, হঠাৎ ঝড়ের ছোবলের কবলে পড়ে সীমান্তবর্তি কালীগঞ্জ উপজেলা। কয়েক মিনিটের এ ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক বাড়ি ঘর ও গাছপালা। মহাসড়কে গাছ পড়ে কয়েক ঘন্টা যানবাহন চলাচল  বন্ধ ছিল লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে। বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক তার ও খুঁটি ছিড়ে পড়ে পুরো উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মাঝ রাতে প্রথমে মৃদু ভুকম্পন অনুভুত হয়। এরপর পরই ঘুর্নিঝড় তান্ডব চালায়। মুহুর্তে বাতাসে উড়ে যায় প্রায় এক থেকে দেড় শতাধিক বসত বাড়ির ঘরের ছাউনি। গাছপালা উপড়ে পড়ে দুমমুচড়ে গেছে ঘরবাড়ি।

পুরো উপজেলায় ঘুর্ণিঝড় আঘাত করলেও সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর গ্রাম।

ঘরবাড়ির সাথে এ ঘুর্ণিঝড়ে ভুট্টা ও পাটসহ সবজি ক্ষেতের অভাবনীয় ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের। বাতাসে পাট গাছ হেলে মাটির সাথে মিশে গেছে। হেলে পড়া পাট ক্ষেতের উৎপাদন অনেক কমে যাওয়ার শ্বঙ্কা করছেন চাষিরা।

কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর গ্রামের হাফিজুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়।এর কিছুক্ষণে পরেই এরপরই শুরু হলো ঘুর্ণিঝড়। কয়েক মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে তার গ্রামের বেশ কিছু ঘরবাড়ি। এতে পুরো বাড়িটি আমার ভেঙে গেছে। আমি এইরঘর ঠিক করব কিভাবে। সরকারের সহযোগীতা ছাড়া কোনো উপায় নেই।

ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে থাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ঝড়ে বেশ কিছু ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। ঝড়ের বিষয়টি ঊর্দ্ধতন মহলে জানানো হয়েছে। তবে হতাহতের কোন খবর নেই বলেও জানান তিনি।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম জানান, ঝড়ে ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কার্যক্রম চলছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে তালিকা মোতাবেক অর্থ ও মানবিক সাহায্য প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরএস
 

Link copied!