Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

বেড়েছে তিস্তার পানি, বন্যার আশঙ্কা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

জুলাই ৩, ২০২৩, ০৬:২৯ পিএম


বেড়েছে তিস্তার পানি, বন্যার আশঙ্কা

ভারতের উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি উঠা নামা করছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পানি বাড়ার সাথে সাথে নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে ও তিস্তার পার্শবর্তী বাসিন্দারা বন্যার আশঙ্কা করছে।

সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক আট সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার সাত সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তার পানি বিপদসীমার সাত সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৬টার দিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমা দুই সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, সকালে বিপদ সীমার সাত সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তার পানি আবারো কমতে শুরু করেছে।

তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তিতে পরেছে সাধারণ তিস্তাপাড়ের মানুষ।

১৭ দিন আগে তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহের ফলের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাঁচ উপজেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।

হাতীবান্ধার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলে গুড্ডিমারি পাঁচটি ওয়ার্ডে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়। ১০ থেকে ১৫ দিন আগে তিস্তার পানির ঘরবাড়িতে প্রবেশ করে। এতে প্রায় ছয় টন চাউল প্রথম দফায় পানিবন্দি মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তিস্তাপাড়ের লোকজনের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে পারে। ফলে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষজনের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করতে পারে।

এইচআর

Link copied!