ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

চীনা যুবকের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার তরুণীর বিয়ে, কথা চলছে ট্রান্সলেটরে

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

জুলাই ১৩, ২০২৩, ০৩:০১ পিএম

চীনা যুবকের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার তরুণীর বিয়ে, কথা চলছে ট্রান্সলেটরে

প্রেম মানে না কোনো জাত, কূল বা ভৌগলিক সীমারেখা। তারই প্রমাণ দিলেন চীন থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসা সাউই চুই (২৮)। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের ফারিয়া সুলতানাকে (২৫) বিয়ে করেছেন তিনি।

ওই গ্রামের দিনমজুর সানোয়ার হোসেনের মেয়ে ফারিয়া। গত ঈদুল আজহার পরদিন ঢাকায় তাদের বিয়ে হয়। এরপর সোমবার (১০ জুলাই) শ্বশুরবাড়িতে যান সাউই চুই। তিনি সেখানে তিন-চারদিন থেকে ঢাকায় ফিরবেন বলে জানা গেছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফারিয়া গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে কয়েক বছর ধরে ঢাকায় থাকেন। এরমধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে চীনা নাগরিক সাউই চুইয়ের সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেম হয়। এরই একপর্যায়ে চুই চীন থেকে ঢাকায় এসে ফারিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। পরে গত ঈদের পরদিন তারা বিয়ে করেন।

চুইয়ের এক বোন ঢাকায় গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। সেই বোনের উপস্থিতিতেই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় এই চীনা নাগরিক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার নাম এখন মো. আব্দুল্লাহ।

ফারিয়ার বাবা সানোয়ার হোসেন বলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার মেয়ের সঙ্গে চীনের ওই ছেলের পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার পর ওই ছেলে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে আমরা তাকে আমাদের দেশে আসতে বলি এবং সব আইন মেনে বিয়ে দিয়েছি। যদিও তারা প্রথমে ঢাকায় বিয়ে করে। গ্রামে আসার পর আমরা ধূমধাম করে অনুষ্ঠান করেছি।

ফারিয়ার মা আনজু খাতুন বলেন, জামাই অনেক ভালো ও শান্ত স্বভাবের। আমার মেয়েকে চীনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছে।

কনে ফারিয়া বলেন, সাউই চুইয়ের সঙ্গে আমার ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরে পরিবারের সবারই পছন্দ হয়। আমার পরিবার রাজি থাকায় প্রায় আট মাস উই চ্যাটের মাধ্যমে কথা বলি। সাউই চুই আমাকে কিছু ভাষা শিখিয়ে দিয়েছিলেন। সেগুলো দিয়ে তার সঙ্গে আমি কথা বলি। তারপরে গত ২০ দিন আগে আমাদের বিয়ে হয়। তিনি অনেক ভালো মনের মানুষ। তিনি সবকিছু মানিয়ে নিতে চেষ্টা করেন।

এই নববধূ বলেন, চীনা ভাষা শিখতে আমার আরও সময় লাগবে। আমি চেষ্টা করছি। কিছুদিনের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে আমাকে চীনে নিয়ে যাবেন। আমার এক ননদ ঢাকায় থাকেন। তিনি গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। আমি ও চুই চীন থেকে আবার আসবো। এদেশে ওনার ব্যবসা করার ইচ্ছা আছে। আমাকে বিয়ের আগে উনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ওনার নাম এখন আব্দুল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, উনি টুকটাক বাংলা বুঝতে পারেন। তাছাড়া আমরা গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে কথা বলি। খুব দ্রুত চীনা ভাষা শিখে যাবো।

সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, চীন থেকে এসে এক যুবক গয়েশপুর গ্রামের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। এটা আমি শুনেছি এবং ছেলেটাকে দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে মানুষ ভিড় করছে। ভিসা সংক্রান্ত কাজ শেষ করে ছেলেটি মেয়েটিকে চীনে নিয়ে যাবে বলে জানতে পেরেছি।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, চীনের এক নাগরিক জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে এসে একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছে। তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।

এইচআর

Link copied!