ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫
Amar Sangbad

সাতলা বিল যেন শাপলা ফুলের এক প্রাকৃতিক স্বর্গ

আরিফ হোসেন,বরিশাল ব্যুরো

আরিফ হোসেন,বরিশাল ব্যুরো

অক্টোবর ১, ২০২৩, ০৮:৪৫ পিএম

সাতলা বিল যেন শাপলা ফুলের এক প্রাকৃতিক স্বর্গ

চারদিকে সবুজ পাতার ফাঁকে থরে থরে ফুটে রয়েছে লাল শাপলা। যতদূর চোখ যায় বিল জুড়ে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। লাল সবুজের এই চিত্র মনে করিয়ে দেয় বাংলাদেশের প্রকৃত রূপ। কাছ থেকে দেখলে মনে হবে শাপলার রাজ্য। লাল রঙ্গের শাপলায় মোড়ানো পুরো বিল। দখিনের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছড়ানো লাল শাপলার বিলে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে প্রতিনিয়ত। সপ্তাহের সাত দিনেই পাখিডাকা ভোর থেকে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে বিস্তীর্ণ লাল শাপলার বিল এলাকা। 

পাশের সড়কে দাঁড়িয়েও যতদূর চোখ যাবে, সবুজের মাঝে রক্তিম আভা হাতছানি দিচ্ছে। বিলের কালচে পানিতে সবুজ পাতার ওপর মাথা উঁচু করে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে লাল শাপলা। এর মাঝেই দেখা মিলতে পারে সাদা রংয়ের শাপলা ফুলের। আবার তার মাঝেই সাদা বক সহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় প্রজাতির পাখির কলকাকলিও তো আছেই। বরিশালের লাল শাপলার বিলটি এখন পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে। তবে রাস্তা সংস্কার ও পর্যটকদের জন্য বিশ্রামাগার করা হলেও এখনও তা উন্মুক্ত না করায় ক্ষোভের শেষ নেই স্থানীয়ও এবং পর্যটকদের। 

তবে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন কাজসহ আরও বরাদ্দ দ্রæত সময়ের মধ্যে দেওয়া হবে বলে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক যুগ ধরে লাল সবুজ রঙ্গে ছেয়েছে বিস্তীর্ন এলাকা। এ যেন শিল্পির নিপুন হাতে আকা চিত্রকর্ম। প্রকৃতি যেন ডেলে দিয়েছে তার সব রং। ফুলের উপর রোদের ঝিলিক দেখে মনে হতেই পারে লাল গালিচা বিছিয়ে রেখেছে প্রকৃতি। এসব দৃশ্যের অপূর্ব সম্মীলন বরিশালের বিল অঞ্চল সাতলায়। বরিশাল নগরী থেকে সড়ক পথে ৬৭ কিলোমিটার দূরে এই শাপলা বিল। 

উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের হারতা ইউনিয়নের কালবিলা ,পটিবাড়ি, মুড়ি বাড়িসহ প্রায় ১১ হাজার একর জলাভ‚মিতে বছরজুড়ে শাপলা ফুল ফোটে এই বিল গুলোতে। বর্ষার ৬ মাস নীচু জমিতে কোমর পানি। আর এতেই প্রকৃতির এই দান। রাতে ফোটা শাপলা ধিরে ধিরে বুঝে যায় রোদে। তাইতো শাপলার সুন্দর্য উপভোগ করতে যেতে হবে সূর্য প্রখর হওয়ার আগে। তাই শাপলার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে ভোর থেকেই দেখা মেলে প্রকৃতি প্রেমিদের। ছোট ছোট নৌকায় করে বিলময় ঘুরে বেড়ানোই হলো পর্যটকদের এক আনন্দ। জুলাই থেকে শুরু করে অক্টোবর পর্যন্ত বিলে শাপলা বেশি থাকে। এই চার মাস লাল শাপলায় ভরপুর থাকে বিল। ভোর থেকেই ছোট ছোট নৌকায় করে বিলে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতি প্রেমীরা। আর ছোট ছোট নৌকা চালিয়েই সংসার চারায় মাঝিরা। লাল শাপলা বিল দেখতে আসা রাকিব বলেন, ফেসববুকে এবং ইউটিউবে লাল শাপলার অনেক ছবি ও ভিডিও দেখেছি। তাই দেখতে চলতে আসলাম। খুবই ভালো লেগেছে, বার বার এখানে ঘুরতে আসব। প্রকৃতির ডাকে সাড়া পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় আমাদের মত ফুলপ্রেমিকরা ঘুরতে আসতে চাচ্ছেনা। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব দ্রুতই সংস্কার করা জরুরি। 

কবির নামে আরেক পর্যটক বলেন, লাল শাপলার বিলটা খুবই সুন্দর। তবে জায়গাটা খুবই বিকট ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না। বিষয়টি নিয়ে শাপলার বিল মাঝি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল মিয়া সাথে কথা হলে তিনে বলেন, শাপলা বিলে নামার জন্য এখানে কোন নেই ঘাটলা, যাত্রী ছাউনী ও টয়লেট। এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি বিশ্রামাগারটির। এছাড়া যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির অবস্থাও বেহাল। এসবের উন্নয়ন হলে এই অঞ্চল হবে পর্যটন নগরী। এবিষয়ে ১নং সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার বললেন, সতলা ইউনিয়নে প্রায় ১১ শ’ একক জমি নিয়ে তিনটি শাপলা বিলের স্পট রয়েছে। রাস্তা সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে আশা করি খুব শিগ্রই সংস্কার কাজ শেষ হবে। 

তবে পর্যটকদের জন্য বিশ্রামাগার দ্রুত সময়ের মধ্যে উন্মুক্ত করাসহ টয়লেট যাত্রীর ছাউনীসহ পর্যটন কেন্দ্র হিবেসে গড়ে তোলার দাবি জানালেন তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম সাথে কথা হলে তিনি বলেন,  বরাদ্ধ পেলে শাপলা বিলকে পর্যটন কেন্দ্র করে গড়ে তোলাসহ বিশ্রামাগার ও ঘাটের উন্নয়ন করা হবে।  এছাড়া আশপাশের সড়ক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে উন্নয়নের পাশাপাশি পর্যটন করপোরেশনের নির্মাণাধীন বিশ্রামাগারটি চালুসহ পর্যটন কেন্দ্রে হিসেবে গড়ে তোলা হোক এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় ও দর্শনার্থীদের।

আরএস

 

Link copied!