মাগুরায় সেনাবাহিনীর ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

মাগুরায় সেনাবাহিনীর ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ভুক্তভোগী শ্রীপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। শ্রীপুর উপজেলার সরদার কালিনগর গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

ভুয়া নিয়োগ পত্র থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বেসামরিক পদে নিয়োগ পত্র দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন এই বিপুল পরিমাণ অর্থ। ভুক্তভোগীকে প্রদান করা ১০-০৯-২৩ এই নিয়োগ পত্রে দেখা যায় প্রদানকারী সংজ্ঞায় নাম ব্যবহার করা হয়েছে সেনা সদর এডি সেকশন পি এ পরিদপ্তর।

নিয়োগের স্থান দেখানো হয়েছে যশোর ক্যান্টনমেন্ট, প্রার্থীর নাম ব্যবহার করা হয়েছে অপূর্ব বিশ্বাস, পিতা অখিল বিশ্বাস সাং সমাধি নগর মধুখালি ফরিদপুর। ভূয়া এই নিয়োগপত্রে অপূর্ব বিশ্বাসকে অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এবং আগামী ২৫-১০-২৩ সকাল ৯ ঘটিকায় মৌলিক বেসামরিক প্রশিক্ষণের জন্য উপস্থিত থাকার ও নির্দেশ দিয়েছেন লেঃ কর্নেল প্রসর্ন ১( প্লাটুন এন্ড এডমিন) শাখা পূর্ত পরিদর্শক ও প্রমান্য প্রকৌশলী সেক্টর। সীলমোহর করেছেন বিএ,৪৮৩২,কর্নেল মোঃ রফিকুল হাসান প্রধান প্রশিক্ষক।

ভুক্তভোগী অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, একটা সরকারি চাকরির আশায় বাড়ির অর্থ সম্পদ বিক্রি করে ৯লাখ টাকা দিয়েছি সাইফুল ও তার ভাইদের হাতে, তারা টাকা নিয়ে আমাদের কে একটা ভূয়া নিয়োগ প্রএ ধরিয়ে দেয়।

১১ই অক্টোবর বিকালে আরেক ভুক্তভোগী বিজন কুমার বিশ্বাস  জানান, সাইফুল নিজেকে সেনা কর্মকর্তা ও তার ভাই শিমুল নিজেকে আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক সেজে ৩/৪ জনের সিন্ডিকেটের মূল হোতা সেজে কর্নেল সাহেবকে টাকা দিতে হবে, মর্মে চাপ প্রয়োগ করে কয়েক ধাপে টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভূয়া নিয়োগ ধরিয়ে দিয়েছে। ভুয়া নিয়োগ জানার পর শ্রীপুর উপজেলা থানার ইনচার্জকে অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু তারা আসামি ধরতে কেন বিলম্ব করছে বুঝতে পারছি না। পরে জানতে পারলাম তারা কয় ভাই দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের প্রতারণার সাথে জড়িত ছিল। তার উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের সাথে সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রার্থীদের আশ্বস্ত করে আমাদের মত অসহায় লোকদের থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এই সিন্ডিকেট কখনও কখনও অবৈধ নিয়োগের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বা ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় ।

২০২২ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগ চলাকালে সে কয়েক প্রার্থীর সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার জন্য অবৈধভাবে ২০ লাখ টাকা নেন এবং একটি নিয়োগপত্র দেন। পরে ওই পদে যোগদান করতে যাওয়ার পর তার ভূয়া নিয়োগ পত্রের কথা জানতে পারেন। পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা রুজু করেন।এবং অভিযুক্তদের জেল হাজতে যেতে হয়। আর এতেই থেমে থাকেনি অভিযুক্তরা বিপরীতে করেছেন বাড়ি গাড়ি সহ বিপুল সম্পদ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,অভিযুক্তদের কেউ সেনাবাহিনী বা আনসার বাহিনীতে চাকরি করেন না।

তবে এ ঘটনায় শ্রীপুর থানার ওসি ইনচার্জ  কাঞ্চন কুমার রায় কে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, ভুক্তভোগী কেউ অভিযোগ করলে আইন গত ভাবে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। বিপরীতে ভুক্তভোগীরা বলছে আমরা তো অনেক আগেই এই মর্মে শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছি। 

আরএস