Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪,

ইঁদুরের উৎপাতে কৃষকের মাথায় হাত

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নভেম্বর ২, ২০২৩, ০২:১৪ পিএম


ইঁদুরের উৎপাতে কৃষকের মাথায় হাত

ইঁদুরের উৎপাতে সুবর্ণচরের কৃষকরা দিশেহারা। ফলন ঘরে তোলার সময়ে ইঁদুরের এমন উৎপাতে সঙ্কায় দিন কাটছে তাদের। সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গেল কয়েক বছরের তুলনায় এবার ইঁদুরের উৎপাত অনেক বেশি। যা কোন রাসায়নিক বা পরিবেশ সম্মত দমন পদ্ধতিকেও কাজে দিচ্ছেনা।

উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চরবৈশাখী গ্রামের কৃষক মিরাজ জানান, তিন একর জমিতে আমন ধান চাষ করে ফলন ভালো হলেও ১৫-২০শতাংশ ধান ইঁদুর খেয়ে পেলেছে। এতে লোকসান গুনতে হবে তাকে। একই মন্তব্য করেছেন পূর্ব চরবাট ইউনিয়নের কৃষক জামাল উদ্দিন। ৪ একর জমির আমন ধানের ফলন পাকার আগেই ২০শতাংশের বেশি ইঁদুরের আক্রমনের স্বীকার হয়েছে।

এদিকে চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের ইব্রাহীম খলিল জানিয়েছেন এবার ইঁদুর ধমনে রাসায়নিক বা পরিবেশ সম্মত ধমন পদ্ধতি কোনটাই কাজে দিচ্ছেনা। সুবর্ণচরের প্রায় আমান ধান চাষির একই অবস্থা দেখা গেছে।

জাতীয় উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের তথ্যমতে, একটি ইঁদুর বছরে ৪০-৫০ কেজি শস্য ক্ষতি করে। এক্ষতির পরিমান বছরে ৭৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ মেট্রিক টন। যা গড়ে মাঠ ফসলের ৫-৭ভাগ। বছরে ৫শ কোটি টাকার বেশি ফলন ইঁদুর নষ্ট করে, যা ৫০-৫৪ লাখ লোকের এক বছরের খাবার। এছাড়াও ইঁদুর ৬০টির বেশি রোগের জীবানু বহন করে। তাদের মতে, এক জোড়া পূর্ণ বয়স্ক  ইঁদুর বছরে ২হাজার পর্যন্ত বংশধর সৃষ্টি করতে পারে।

সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এবছর ইঁদুরের উৎপাত বেশি। তবে, এ উপলক্ষে ইঁদুর নিধন অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে দরকার রাসায়নিক বা পরিবেশ সম্মত দমন পদ্ধতির ব্যবহার। এছাড়াও ধান ক্ষেতে পেঁচা বসার জন্য পর্যবেক্ষণ টাওয়ার বসালে ইঁদুরের উৎপাত কমবে। তারমতে, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ইঁদুর দমনে সচেতনতা করতে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।

এইচআর

Link copied!