Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

অঞ্জলির পাশে অভয়নগরের ইউএনও

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি

জানুয়ারি ১৪, ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম


অঞ্জলির পাশে অভয়নগরের ইউএনও

প্রতিবন্ধী অঞ্জলির পাশে দাঁড়ালেন অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম আবু নওশাদ। দারিদ্র ও প্রতিবন্ধিতাকে হার মানাতে তিনি তার জন্য মানবিক সহায়তা দিলেন। অঞ্জলি রানী দাসের বয়স ৪০। পায়ের উপর ভর দিয়ে চলতে পারেননা। হাত এবং এক পা’র উপর ভর দিয়ে চলাচল করেন তিনি। জন্ম থেকে  শারীরিক প্রতিবন্ধী। চিকিৎসা জোটেনি অর্থাভাবে। প্রতিবন্ধিতার জন্য তার বিয়ে হয়নি।

যশোরের অভয়নগরের মহাকাল গ্রামের রথখোলার পাশে দাস পল্লীতে বাস করেন। পিতা বিশ্বনাথ ও মা আয়না রানীর সন্তান অঞ্জলি। অন্যের উপর ভর করেই বেঁচে আছেন তিনি। বাবা মারা যাওয়ার পর ভাইয়ের সংসারে আশ্রিত থাকেন। পরনির্ভরশীলতা তার জীবনের ২য় অভিশাপ। এ থেকে কাটানোর জন্য দর্জীর কাছ বেছে নিয়েছেন।

পুরানো মেশিন দিয়ে এলাকার মানুষের ছোট খাট সেলাইয়ের কাজ করেন। কিন্তু হাত মেশিন না থাকায় জীবিকার্জনও বাঁধাগ্রস্ত। ছকে বাঁধা জীবন জীবিকা তার। একাকীত্বের অভিশাপ নিয়ে বেঁচে থাকা অঞ্জলি বড় অসহায়। অন্যের করুণা নিয়ে তার বেঁচে থাকা। তার অসহায়ত্বের খবর পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম আবু নওশাদ।

ফেসবুক স্টাটাসের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি অঞ্জলির জন্য তাৎক্ষণিক হুইল চেয়ার কিনে আনেন এবং রোববার (১৮ জানুয়রি) তার হাতে তুলে দেন। তার সেলাই প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করতে সচেষ্ট হন। অঞ্জলি রানী সহায়তা পাওয়ার পর তার প্রতিক্রিয়া জানান।

তিনি বলেন, আজ আমি বড়ই খুশি। এতদিন কেউ ফিরেও তাকায়নি। ইউএনও স্যারের কাছ থেকে ২৫ বছর পর এমন একটি সহায়তা পেলাম। এখন আমি বাঁচার নতুনভাবে বাঁচার পথ খুঁজে পেলাম।

এইচআর
 

Link copied!