Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪,

বীজ সংগ্রহ করলে বাধ্যতামূলক বিনামুল্যে ট্রেনিং

মিষ্টি কুমড়া চাষে সফলতা বরিশালের সুমনের

বরিশাল ব্যুরো

বরিশাল ব্যুরো

জানুয়ারি ২৪, ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম


মিষ্টি কুমড়া চাষে সফলতা বরিশালের সুমনের

বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কৃষি উদ্যোক্তা বকর সিদ্দিক সুমন যৌবনে ঘুরেছেন পৃথিবির ৩৭টি দেশ। নানা পেশায় করেছেন কাজ জীবনের প্রায় ৩৭ বছর। শেষ বয়সে নিজ দেশে ফিরে শুরু করেন কৃষি কাজ। ২০২০ সালে প্রায় এক একর যায়গা জুড়ে রোপন করেন উন্নত জাতের পেপে গাছ। 

পেপে চাষের পাশাপাশি পরিত্যাক্ত জমিতে এবছর  চাষ করেন বøাক স্টোন ও স্মল স্টোন জাতের মিষ্টি কুমড়ার। প্রথম বারেই সফল ৭৪ বছর বয়সী এই উদ্যোক্তা। মাত্র ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে কুমড়ার চাষ করে ইতিমধ্যে বিক্রি করেছেন ১ লাখ টাকার বেশি কুমড়া। 

তবে এবছর বরিশাল জেলায় শীত কালিন সবজি আবাদের যে লক্ষমাত্রা ছিলো তা অর্জন হয়েছে। পাশাপাশি দিন দিন সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল কৃষি অধিদপ্তর।

উদ্যোক্তা সুমন ছোট বেলা থেকেই বাবার সাথে কৃষি কাজ করতেন। এবং কি বিদেশ গিয়েও কাজের ফাঁকে বিভিন্ন কৃষি খামার ঘুরে ঘুরে দেখাম। সেখান থেকেও অনেক অভিগ্যতা অর্জন করেছি। পরে বাংলাদেশে এসে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজে হয়ে গেলাম কৃষি উদ্যোক্তা।

সুমন মনে করেন লক্ষ লক্ষ  টাকা খরচ করে বিদেশে না গিয়ে,  সেই টাকায় নিজ দেশেই কৃষি কাজ শুরু করলে বিদেশের থেকে কম পরিশ্রমে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। এজন্য শুধু দরকার মনোবল ও ধৃঢ় সংকল্প। কুমড়া চাষ করে সফলতা পাওয়া সুমন শুধু নিজের মুনাফা অর্জনের জন্যই চাষ করেন না। তার লক্ষ্য সমাজের বেকার তরুন শিক্ষিত যুবকদের কৃষি ক্ষেত্রে টেনে এনে,  দেশে কৃষিতে একটি অভাবনীয় বিপ্লব ঘটানো। এ জন্য নিজ উদ্যোগেই শুরু করেছেন ট্রেনিং পদ্ধতি, তার কাছে কেউ বীজ সংগ্রহ করতে আসলে প্রথমে বাধ্যতামূলক ভাবে বিনামুল্যে ট্রেনিং করান তিনি। 

কুমড়া বাগানে কাজ করা শ্রমিক ও ক্রেতা জানান, কুমড়া চাষে করে এই বাগানের মালিক খুব লাভোমান হচ্ছে। পাশিপাশি আমরাও লাভোমান হচ্ছি। এই বাগান দেখতে প্রতিদিনই দূরদুরান্ত থেকে লোক এসে বাগান মালিকের কাছ থেকে পরামার্শ নিচ্ছে। কৃষি উদ্যোক্তা বকর সিদ্দিক সুমন বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বিদেশে না গিয়ে, সেই টাকায় নিজ দেশেই কৃষি কাজ শুরু করলে বিদেশের থেকে কম পরিশ্রমে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। 

আমি কুমড়া চাষ করে এখন একজন সফল্য কৃষি উদ্যোক্তা হয়েছি। বরিশাল কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মুরাদুল হাসান জানান, এবছর আমাদের সবজি আবাদের যে লক্ষ মাত্রা ছিলো তা আর্জন হয়েছে। আমাদের ১১ হাজার ৭১৪ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। 

গতবছরের চেয়ে এবার ফলনও ভালো হয়েছে। বরিশাল জেলায় দিন দিন সবজি আবাদের বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজস্ব খাতে বিজ সার সহ ১৩ শ’ ৪৯ জনকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সুমন মনে করেন জীবনের শেষ বয়সে এসে তার অভিজ্ঞতা থেকে সমাজ ও দেশের কৃষি ক্ষেত্রে যতটুকু পারেন অবদান রাখবেন।

এইচআর
 

Link copied!