Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪,

নিম্ন আয়ের মানুষের ইফতারিতে ফল নেই

আশরাফুল ইসলাম তুষার, কিশোরগঞ্জ

আশরাফুল ইসলাম তুষার, কিশোরগঞ্জ

মার্চ ২১, ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম


নিম্ন আয়ের মানুষের ইফতারিতে ফল নেই
ছবি: আমার সংবাদ

সারাবছরের তুলনায় রমজানে বেড়ে যায় সব ধরনের ফলের চাহিদা। ইফতারিতে রোজাদাররা খেজুর,কলা, তরমুজ, পেঁপে, আনারস, বেল, আঙুর, আপেল, বরইসহ দেশি-বিদেশি ফল রাখতে চান। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এসব ফলের দাম। এর প্রভাব পড়েছে মধ্যবিত্তসহ নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে। ফলে তাদের ইফতারির প্লেটে থাকছে না ফল।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জেলা শহরের বিভিন্ন ফলের আড়ত, দোকান ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে এমন চিত্র। ফলের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাও কমেছে।

পুরানথানা বাজারে বাজার করতে এসেছেন রহিম মিয়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি ইফতারির জন্য ফল কেনার ইচ্ছা ছিল তাঁর। তবে মাছ, মাংস, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ অন্যান্য সামগ্রী কিনতেই টাকায় টান পড়ে। তাই আর ফল কেনা হয়নি তাঁর।

তিনি বলেন, ‘যে টাকা নিয়ে এসেছি, অন্য বাজার করতেই শেষ হয়ে গেছে। ফল কেনার টাকা নেই।’

তিনি ভেবেছিলেন, ‘পেঁপের দাম ৭০-৮০ টাকা হবে। এসে দেখেন ১২০ টাকা।পরে ১০০ টাকায় বেল আর ৪০ টাকা হালি কলা কেনারও সাহস হয়নি। বাজারে প্রতিটি ফলের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। 

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের আগে ৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেল এখন ১০০ টাকা। ৯০ টাকার পেঁপে ১২৫ টাকা হয়েছে। কমলার দাম ২২০ থেকে কেজিতে ৮০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩০০। একইভাবে ৩০০ টাকার আপেল ৩৩০, সাগর ও সবরি কলার হালি ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ টাকা। ২৬০ টাকার আঙুর ৩০০ টাকা। ৫০-৬০ টাকা কেজির তরমুজ ৮০, বরই ৮০ থেকে বেড়ে ১০০ টাকা। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। সরকার নির্ধারিত দামে কোথাও খেজুর বিক্রি করতে দেখা যায়নি। প্রতি কেজির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২৪০ টাকা।

ফল ব্যবসায়ী হৃদয় জানান, গত বছর খেজুরের কেজি ছিল ২৮০ টাকা। এবার বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকায়। অথচ রমজানের আগে ছিল ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা কেজি। মরিয়ম খেজুর ১ হাজার ৫০ ও আজওয়ার কেজি ১ হাজার ১৫০ টাকা।

তাঁর মতে, অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় এবার ফলের দাম বেশি। অপর এক ফল বিক্রেতা মনির বলেন,গত বছরের তুলনায় এবার দেশি-বিদেশি ফলের দাম বাড়তি।

ফল বিক্রেতা জুয়েল জানান, প্রতিকেজি বেদানা এখন ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। অথচ রমজানের আগে বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রমজানের প্রথম দিন ক্রেতার সংখ্যা বেশি থাকায় বিক্রি ভালো হয়েছে। তবে দ্বিতীয় রোজা থেকে ক্রেতা কমেছে।

রোজার মাসে ফলের চাহিদা বেড়ে যায় জানিয়ে ফল ব্যবসায়ী রনি বলেন, গরিব-ধনী সবাই ইফতারে ফল খেতে চায়। তবে এবার দাম বেশি হওয়ায় গরিব মানুষ কেনার সুযোগ পাচ্ছে না। ধনী ও মধ্যবিত্তরা পছন্দের ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক বলেন, রমজান মাসজুড়ে বাজার স্থিতিশীল রাখতে তদারকি করা হচ্ছে।জরিমানাও করা হয়েছে। তবে সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হওয়া জরুরি।

এআরএস

Link copied!