ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

মাদারীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান শাজাহান মোল্লার অবৈধ সম্পদের তদন্তে দুদক

জাহিদ হাসান, মাদারীপুর

জাহিদ হাসান, মাদারীপুর

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫, ০৬:৪২ পিএম

মাদারীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান শাজাহান মোল্লার অবৈধ সম্পদের তদন্তে দুদক

মাদারীপুর পাইকপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শাজাহান মোল্লার জ্ঞাত আয় বহিভূর্ত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্তে মাঠে নেমেছে মাদারীপুর দুদক।

দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার নির্দেশে মাদারীপুর দুদক এ অনুসন্ধান শুরু করেছে।

২৬ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুর দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ৫ মার্চ চেয়ারম্যানকে সকল কাগজপত্রসহ দুদক অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, রাজৈর ইউনিয়নের পাইকপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাজাহান মোল্লা গত সরকারের আমলে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি রাজৈর উপজেলার একজন প্রভাবশালী চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত এবং পাইকপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খানের আস্থাভাজন হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। এসময় তিনি সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ইউনিয়ন পরিষদে সেবা গ্রহণকারীদের কাজ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায়, সরকারি বিভিন্ন প্রজেক্টে সুবিধাভোগীদের কাজ থেকে অর্থ নেয়া ও সংখ্যালঘুদের জমি দখল ও তাদের বিতাড়িত করার অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে।

দুদকের কাছে যে সকল অভিযোগ চেয়ারম্যান শাজাহানের বিরুদ্ধে

পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন বাবদ ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা নেয়া হতো। ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দিতে নেয়া হতো ১ হাজার টাকা, বিধবা ভাতার প্রতিটি কার্ড বাবদ নিতো ১০ হাজার টাকা, বয়স্ক ভাতা করতে জন প্রতি দিতে হতো ২ হাজার টাকা, গর্ভবতী ভাতার জন্য নেয় হয় ২ থেকে ৫ হাজার টাকা, প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য লাগতো ২ হাজার টাকা।

চেয়ারম্যানের ইচ্ছামাফিক ইউনিয়নের চৌকিদারির ট্যাক্স বাবদ ঘর প্রতি নেয়া হতো ২ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা।

সালিসের নামে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ গ্রহণ করতো। যে বেশি টাকা দিত, সালিসির রায় তার পক্ষে দিত।

হিন্দু ছেলে ও মুসলিম মেয়ের প্রেমের ঘটনায় সালিস করে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করে সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে না দিয়ে পুরো টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া অভিযুক্ত হিন্দু ছেলেকে সে মারধর করেছে, যার জন্য তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

ইউনিয়নে গুচ্ছগ্রামে সরকার যে ঘরগুলো দিয়েছে তার প্রতিটি ঘরের জন্য ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। নিজের বাড়িতে মসজিদ করার জন্য সরকারি অনুদান প্রায় ৬০ লাখ টাকা এনে নিজেই আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া সংসদ সদস্যের ফান্ড থেকে একাধিকবার বিভিন্ন মসজিদের নামে অনুদান এনে মসজিদের কোনো কাজ না করে আত্মসাৎ করেছে।

এছাড়া অনেক সংখ্যালঘুকে তাড়িয়ে দিয়ে তাদের জমি অবৈধভাবে দখল করার অভিযোগও রয়েছে দুদকের হাতে।

এসকল অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার প্রকা, ঢাকার ই/আর নং-তদন্ত-১/০৫১৭/২০২৪ চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে মাদারীপুর দুদককে। চিঠি পাওয়ার পর মাদারীপুর দুদক এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। এই তদন্তের অংশ হিসেবে ৫ মার্চ চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ মাদারীপুর দুদক কার্যালয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানের কাছে হাজির হতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব অসীম কুমার হালদারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, “আমাদের চেয়ারম্যান শাজাহান সাহেবকে হাজির হতে দুদক চিঠি দিয়েছে। আজ আমরা চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উল্লেখ করা আছে। এ বিষয়ে আমরা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। তিনি যাবেন কিনা তা তিনিই বলতে পারেন। আমি এখানে চাকরি করি। চেয়ারম্যানের সম্পত্তি কি আছে তা আমার জানা নেই। এই সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।”

চেয়ারম্যান শাজাহান মোল্লার সাথে নম্বরে যোগাযোগ করলে বাড়ির কেউ ফোন রিসিভ করে এবং চেয়ারম্যান বাড়িতে নেই বলে জানান। দুদকের চিঠির বিষয় বা তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তারা কিছু জানে না।

তবে চেয়ারম্যান কোনো অপরাধ করেনি বলেও জানান পরিবারের এই সদস্য। পরিচয় জানতে চাইতে তিনি তার পরিচয় দিতে রাজি হননি।

মাদারীপুর দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান জানান, “চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নির্দেশ পেয়ে আমি দেরি না করে অনুসন্ধান শুরু করেছি। এরই মধ্যে আমি অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হয়ে তার বক্তব্য দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি। আগামী ৫ মার্চ তার আসার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্রুতই তদন্ত শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।”

ইএইচ

Link copied!