ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

বরগুনায় সংসদীয় তিনটি আসন পূর্ণবহাল না করায় ক্ষুব্ধ জেলার ১২ লাখ মানুষ

বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনা প্রতিনিধি

জুলাই ৩১, ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম

বরগুনায় সংসদীয় তিনটি আসন পূর্ণবহাল না করায় ক্ষুব্ধ জেলার ১২ লাখ মানুষ

বরগুনা জেলার সংসদীয় তিনটি আসন পূর্ণবহাল না করায় ক্ষোভে ফুঁসছে জেলার ১২ লাখ সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে পুনরায় তিনটি আসন পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় জেলা বরগুনা ছয়টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর আয়তন ১,৮৩১.৩১ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ১২ লাখ ১০ হাজার ৫৩০ জন। পায়রা (বুড়িশ্বর) ও বিষখালী নদী বরগুনার ছয়টি উপজেলাকে ভৌগোলিকভাবে আলাদা করেছে। পায়রা নদীর পূর্বে আমতলী ও তালতলী উপজেলা, পশ্চিমে বরগুনা সদর ও বেতাগী এবং বিষখালী নদীর পশ্চিমে রয়েছে পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলা।

স্বাধীনতার পর বরগুনা জেলায় তিনটি সংসদীয় আসন ছিল— বরগুনা-১ (বরগুনা সদর ও বেতাগী), বরগুনা-২ (পাথরঘাটা ও বামনা), বরগুনা-৩ (আমতলী ও তালতলী)।

এই তিনটি আসনের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে জেলার উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো সরেজমিন পরিদর্শন ছাড়াই এক পক্ষকে সুবিধা দিতে পরিকল্পিতভাবে তিনটি আসনকে ভেঙে দুটি আসনে রূপান্তর করে। তখন বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী নিয়ে বরগুনা-১ এবং পাথরঘাটা, বেতাগী ও বামনা নিয়ে বরগুনা-২ আসন গঠন করা হয়। এতে আমতলী-তালতলীর প্রায় চার লাখ মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হন।

বর্তমানে বরগুনা-১ আসনে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৪ এবং বরগুনা-২ আসনে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৫৩০ জন। এর মধ্যে আমতলী ও তালতলীর ভোটার সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৯২ হাজার ১৩৩।

বরগুনা-১ আসনের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ৯০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৪ কিলোমিটার প্রস্থের পায়রা নদী এবং বরগুনা-২ আসনের বিষখালী নদীর কারণে ভোট গ্রহণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনকে নির্বাচনকালে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। এতে নির্বাচন প্রক্রিয়ার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

বরগুনায় তিনটি আসন পুনর্বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে পাঁচটি আবেদন জমা দেওয়া হলেও খসড়া তফসিলে সেই দাবিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এতে করে জেলার মানুষ চরম ক্ষুব্ধ ও হতাশ।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাড্ডা ইউনিটের নেতা ও তালতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম লিটন বলেন, “২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে বরগুনা-৩ আসন বিলুপ্ত করে। এতে আমতলী-তালতলীর মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এবারও নির্বাচন কমিশন আমাদের সঙ্গে একই আচরণ করেছে।”

আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সিকদার বলেন, “নির্বাচন কমিশনের প্রতি আশা ছিল তারা মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেবেন। কিন্তু তারাও বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন।”

বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তফা কাদের বলেন, “বরগুনা জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল ধারায় আনতে হলে তিনটি সংসদীয় আসন প্রয়োজন।”

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা বলেন, “২০০৮ সালে কোনো সরেজমিন পরিদর্শন ছাড়াই বরগুনা-৩ আসন বিলুপ্ত করা হয়েছিল। বর্তমান নির্বাচন কমিশনও সেই পথেই হেঁটেছে।”

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট গাজী মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “ভৌগোলিক ও প্রশাসনিক বাস্তবতায় বরগুনা জেলায় তিনটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল করা উচিত ছিল। কমিশনের খসড়া তালিকায় সেই আশা পূরণ হয়নি।”

বিএনপির সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের এপিএস ও আমতলী-তালতলীর গণমানুষের নেতা ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন বলেন, “২০০৮ সালের ২৯ এপ্রিল প্রকাশিত সরকারি গেজেট অনুযায়ী বরগুনা-৩ আসন বিলুপ্তির কোনো যৌক্তিকতা ছিল না। সেই গেজেটও আমলে নেয়নি বর্তমান কমিশন।”

জেলার সাধারণ মানুষের একটাই দাবি—বরগুনা জেলার তিনটি সংসদীয় আসন দ্রুত পুনর্বহাল করা হোক, যাতে অবহেলিত ও উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত হয়।

ইএইচ

Link copied!