ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

পদ্মায় প্রতিদিন ৩ কোটি টাকার বালু ‘লুট’, প্রশাসন নীরব

রাজবাড়ী প্রতিনিধি:

রাজবাড়ী প্রতিনিধি:

মার্চ ৯, ২০২৫, ০২:১৪ পিএম

পদ্মায় প্রতিদিন ৩ কোটি টাকার বালু ‘লুট’, প্রশাসন নীরব

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বালু খেকোদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের মহিদাপুর, দৌলতদিয়ার কলাবাগান, ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন অন্তত তিন কোটি টাকার বালু লুটে নিচ্ছে প্রভাবশালী একটি চক্র।

সম্প্রতি রাজবাড়ী জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এলাকাবাসী বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। এরপরও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন নীরব রয়েছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বালু লুট চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন আলম শেখ নামে এক ব্যক্তি। ফরিদপুরের সিএন্ডবি ঘাট এলাকার এ ব্যক্তি প্রায় মাস ধরে পাঁচটি ড্রেজার দিয়ে দিনরাত নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন। প্রতিদিন ৯০ থেকে ১০০টি বাল্কহেডে এ বালু অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রতিটি বাল্কহেড নিচ্ছে ১০ হাজার ফুট বালু। প্রতি ফুট বালু তিন টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করছে চক্রটি। অর্থাৎ প্রতিটি বাল্কহেড থেকে আদায় করা হচ্ছে ৩৫ হাজার টাকা। এ হিসেবে প্রতিদিন ৩ কোটি টাকার বেশি বালু লুট করা হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

তারা বলছেন, আমরা নিরীহ মানুষ। বালু লুট চক্রের সদস্যরা প্রভাবশালী। তারা অনেক টাকা-পয়সার মালিক। টাকা দিয়ে তারা সবার মুখ বন্ধ করে রাখছে। আমরা ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছি না। কারণ তাদের সাথে বিরোধে জড়ালে বিপদ হতে পারে। তারা নানাভাবে হয়রানি করতে পারেন। কিন্তু এভাবে বালু তুললে নদী ভাঙতে পারে। রাস্তা-ঘাট, ফসলী জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কাছে আসলাম প্রামানিক এক ব্যক্তি লিভিত অভিযোগ প্রদান করেছেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি ওই অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি মহিদাপুর গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগে বলা হয়েছে, এ বালু মহাল ইজারা না দেওয়া সত্ত্বেও আলম শেখ গং লোড ড্রেজার স্থাপন করে দিনরাত অবৈধভাবে বালু তুলছেন। এটা আইন পরিপন্থি। এলাকাবাসী তাদের বারবার বালু না তুলতে নিষেধ করেছেন। নৌ পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। এরপরও বালু উত্তোলন থামছে না। বালু উত্তোলনের ফলে এলাকাবাসীর ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, পাকারাস্তা ও সরকারি স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বালু উত্তোলন বন্ধ এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে এ অভিযোগ।

অভিযোগের বিষয়ে আলম শেখ বলেন, তিনি বালু উত্তোলন করছেন না। তার কোনও ড্রেজার নেই। তিনি ওখান থেকে বালু কিনে আনেন। অবৈধ বালু কেনা অপরাধ কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তিনি বৈধ বালু কিনছেন। বালু উত্তোলন করা হচ্ছে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার নেছরাগঞ্জ ইউনিয়নের চর থেকে। ওই চর একজন ইজারা নিয়েছেন। কে ইজারা নিয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে ওয়ার্ক অর্ডার পাঠাচ্ছি। এই বলেই তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন। এরপর একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রেসপন্স করেননি।

আলম শেখের এ দাবির বিষয়ে স্থানীয়রা বলছেন, ড্রেজারের মালিক আলম শেখ। তিনি যেখান থেকে বালু উত্তোলন করছেন; সেখান থেকে নেছরাগঞ্জ ইউনিয়নের ওই চরের দূরত্ব অন্তত ৫ কিলোমিটার। বালু উত্তোলন করা হচ্ছে চরমহিদাপুর থেকে; যা গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের অংশ। প্রশাসন সরেজমিনে এলেই ঘটনার সত্যতা পাবে।

আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, আলম শেখ একজন ধূর্ত প্রকৃতির লোক। একই সঙ্গে টাকাওয়ালা। ফলে তার বিরুদ্ধে গিয়ে কারও টিকে থাকা কঠিন। স্থানীয়দের চাপের মুখে তিনি ড্রেজার কিছুটা নদীর ভেতরে নিয়ে গেছেন। এখন তিনি দাবি করছেন বালু তোলা হচ্ছে নেছরাগঞ্জ থেকে; যা ডাহা মিথ্যা কথা।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদুর রহমান বলেন, আসলাম প্রামানিক নামে এক লোক জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর একটা কপি তিনি আমাদেরকে দিয়েছেন। কিন্তু সেখানে তার ফোন নম্বর নেই। ফলে তার সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। যোগাযোগ করতে পারলে কোথায় বালু উত্তোলন হচ্ছে, ট্রেস করা সহজ হতো।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করছি।

বিআরইউ

Link copied!