মহুয়া জান্নাত মনি, রাঙামাটি
মার্চ ২৬, ২০২৫, ১১:২২ পিএম
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এ দিন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে কোমলমতি শিশু ও শিক্ষার্থীদের মাঝে জাতীয় পতাকা বিতরণ করেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য মো. হাবীব আজম।
বুধবার সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাঙামাটি চিংহ্লামং মারী স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ডিসপ্লে প্রদর্শনীতে অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনেক অভিভাবকও উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় স্টেডিয়ামের প্রবেশমুখ ও গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে মো. হাবীব আজম কোমলমতি শিশু ও শিক্ষার্থীদের মাঝে জাতীয় পতাকা, "২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস" লেখা মাথার ফিতা এবং দৃষ্টিনন্দন বেলুন বিতরণ করেন।
জাতীয় পতাকা হাতে পেয়ে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিশুরা আনন্দ প্রকাশ করে এবং জেলা পরিষদের সদস্য হাবীব আজমকে ধন্যবাদ জানায়। অভিভাবকরাও এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, এ ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে এবং জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে।
জাতীয় পতাকা বিতরণ শেষে মো. হাবীব আজম বলেন, "স্বাধীনতার ঘোষণা আসার পর মুক্তিকামী বাংলার দামাল সন্তানেরা স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। লাখো প্রাণের বিনিময়ে ও তাদের আত্মত্যাগের ফলেই আমরা বিজয় অর্জন করেছি। আমি সেই সব শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি জানাই স্বশ্রদ্ধ সালাম ও বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।"
তিনি আরও বলেন, "স্বাধীনতার মাসে বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার ও দৃঢ় প্রত্যয় থাকা উচিত আমাদের সবার। সকল বাধা পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশমাতৃকার কল্যাণে আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবো—এটাই হওয়া উচিত আমাদের লক্ষ্য।"
তিনি আশা প্রকাশ করেন, পাহাড়ের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর কোমলমতি শিশুরা জাতীয় পতাকা উপহার পেয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে এবং আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশ গঠনে অবদান রাখবে।
ইএইচ
