ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

আশাশুনিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

আমার সংবাদ ডেস্ক:

আমার সংবাদ ডেস্ক:

মার্চ ৩১, ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম

আশাশুনিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বিছট গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধে ১৫০ ফুট ভেঙে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। নতুন করে জোয়ারের তোড়ে দেখা দিয়েছে নতুন ভাঙন।

আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে পাউবো বিভাগ-২ এর আওতাধীন ৭/২ পোল্ডারের বিছট গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ঘেরের বাসার কাছ থেকে প্রায় ১৫০ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরে দেশজুড়ে উৎসবের আমেজপবিত্র ঈদুল ফিতরে দেশজুড়ে উৎসবের আমেজ
এদিকে হঠাৎ করে বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ফলে ঈদের আনন্দ গ্রামবাসীর নিরানন্দে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙন পয়েন্টে বিকল্প রিংবাধ নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিছট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, আজ সকালে আমরা গ্রামবাসীরা সবাই পৃথকভাবে ঈদের নামাজ আদায় ব্যস্ত ছিলাম। নামাজ শেষে জানতে পারলাম আব্দুর রহিম সরদারের চিংড়ি ঘরের বাসার কাছ থেকে প্রায় ১৫০ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি গ্রামের মসজিদের মাইকে প্রচার দিয়ে দ্রুত লোকজনকে ভাঙন পয়েন্টে যেতে বলা হয়। গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙন পয়েন্টে একটি বিকল্প রিংবাধ নির্মাণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ভাঙন পয়েন্টে দ্রুত একটি বিকল্প রিংবাধ নির্মাণ করা না গেলে দুপুরের জোয়ারে বিছট গ্রামসহ আশেপাশের ৭/৮টি গ্রাম খোলপেটুয়া নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়বে।

তিনি দ্রুত ভাঙন পয়েন্টে বেড়িবাঁধ মেরামতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

স্থানীয় আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস জানান, ঈদের নামাজ আদায় করার সময় ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে ভেঙ্গে ভিতরে পানি প্রবেশ করছে। দ্রুত নামাজ শেষ করে এলাকার হাজার হাজার স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাড়তি ভাঙন আটকানোর চেষ্টা করি। কিন্তু জোয়ারের প্রবাল স্রোতে আটকানো সম্ভব হয়নি। বর্তমান জোয়ারের পানি লোকালে প্রবেশ করছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে বিছট, গোর আলী, বল্লভপুর, আনুলিয়া ও কাকবাসির গ্রামের লবণ পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। দ্রুত বাঁধটি মেরামত না করা গেলে পার্শবর্তী খাজরা ও বড় দল ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করবে। ভাঙনের খবর পেয়ে সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে যাই। বেড়িবাঁধের প্রায় দেড়শ ফুট এলাকা জুড়ে সম্পূর্ণ খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়। স্থানীয় গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙন পয়েন্টে একটি বিকল্প রিংবাধ নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হবে কিনা বলা যাচ্ছে না।

সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবর পেয়ে আমার ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদেরকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসী স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে সেখানে কাজ করছে। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও ব্যাগের ব্যবস্থা করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কৃষ্ণা রায় বলেন, ভাঙনের কথা শোনা মাত্রই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছেন। পাশাপাশি স্থানীয় চেয়ারম্যান কে ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাশ বস্তা যা লাগে দ্রুত ব্যবস্থা করে ভাঙ্গন প্রতিরোধের কথা জানিয়েছি। দ্রুত ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে।

বিআরইউ

Link copied!